দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা জননেতা আবদুর রাজ্জাকের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১১ সালের আজকের এই দিনে লন্ডনের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।

আবদুর রাজ্জাক ১৯৪২ সালের ১ আগস্ট শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাঙালির স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক শান্তি ও সামাজিক মুক্তির আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসা আবদুর রাজ্জাক দু’দফা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন সময় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।

শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ব্যানারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে গড়ে ওঠা গণআন্দোলনে আবদুর রাজ্জাকের অগ্রণী ভূমিকা ছিল।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ছাড়াও পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৬ সালে পানিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেরেবাংলা জাতীয় পুরস্কারসহ একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার পান।

প্রয়াত এই জননেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন আজ সকালে বনানী কবরস্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। আবদুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন ও আবদুর রাজ্জাক স্মৃতি সংসদ একইরকম কর্মসূচি পালন করবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৩ ডিসেম্বর, ২০২০)