কারসাজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে চালের দাম : কৃষিমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দুই দফা বন্যায় আউশ ও আমনের ফলন ভালো হয়নি। এছাড়া বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান সফল হয়নি। এ কারণে সরকারের হাতে চালের ঘাটতি রয়েছে। বর্তমানে সরকারের কাছে ১৩ লাখ মেট্রিক টন চাল মজুদ থাকার কথা। কিন্তু খাদ্যগুদাম গুলোতে ৮ লাখ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। এ সুযোগে মজুদদার, আড়তদার ও মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি ‘গোপালগঞ্জ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র’নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের সময় কৃষিমন্ত্রী এই তথ্য জানান।
ধান-চালের দামের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এই বছর কয়েক দফা লাগাতার বন্যা ও ৫ মাসব্যাপী অতি বৃষ্টিতে আউশ ও আমন ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ১ লাখ ৫ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান নষ্ট হয়েছে। এরফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন ধান কম উৎপাদিত হয়েছে। এ কারণে চালের দাম কিছুটা বেশি।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কৃষক পর্যায়ে ধানের দাম অনেক বেশি। এই ঘাটতি মেটাতে সরকার ৫-৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে। কারণ এই ঘাটতি না মেটাতে পারলে মিলার, আড়াতদার ও চাল ব্যবসায়ী দাম বাড়ানোর সুযোগ পাবেন। ইতোমধ্যে নানা কারসাজি করে তারা দাম বাড়িয়েও দিয়েছেন।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘গোপালগঞ্জ জেলা উন্নয়নের দিক থেকে কিছুটা বঞ্চিত। এর কারণ ১৯৭৫-এর পরে সামরিক ও স্বৈরাচারী শাসকরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান হওয়ার কারণে ওই সময়ে গোপালগঞ্জে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে গোপালগঞ্জের উন্নয়নের চেষ্টা করছেন বলেও তিনি জানান।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৭ ডিসেম্বর, ২০২০)