দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: এবার থার্টি ফাস্ট নাইট নিয়ে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তবে মানুষের স্বার্থে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে সারাদেশ। আইন-শৃংখলা রক্ষায় নেয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। সাইবার পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমেও নজরদারী করবে আইন-শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনী।

রাজধানীর গুলশান এলাকা। থার্টি ফাস্ট নাইট সামনে রেখে তৎপর পুলিশ। ডিপ্লোমেটিক জোন হিসেবে পরিচিত গুলশান এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসিয়ে চলছে তল্লাশী।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসি সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, রাত ৮টার পর গুলশান এলাকায় বসবাস করেন না এমন কেউ গুলশান এলাকায় প্রবেশ করবেন না। আর গুলশান এলাকায় যারা বসবাস করেন তারা রাত ৮টার পর প্রবেশ করতে চাইলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানো সাক্ষেপে প্রবেশ করতে পারবেন। আমরা সমন্বিতভাবে পুরো এলাকাজুড়ে যেখানে নগরবাসীদের প্রাধান্য দেখা যায় সে এলাকায় যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা বা নাশকতা না হয় সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি।

দেশজুড়ে ইংরেজী বর্ষবরণ ঘিরে কোনো ধরনের বিশৃংখলা হলে কঠোরভাবে দমন করার কথা বলছে র‌্যাব।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন, সকল অলি-গলিতে সাদা পোশাকে র‌্যাবের সদস্যরা ও গোয়েন্দারা নিয়োজিত থাকবে। এর পাশাপাশি ইউনিফর্মধারী সদস্যরাও তাদের উপস্থিতি জানান দিবে। এছাড়া সাইবারেও আমাদের সরব উপস্থিতি থাকবে। কোন কিছুই যাতে র‌্যাবের নজরের বাইরে না থাকে সেজন্য র‌্যাব অত্যন্ত সচেষ্ট ও সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করবে।

সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে নতুন বছরকে বরণ করার আহবানও জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক আরও বলেন, নিজ নিজ পরিবারের সাথে, নিজ বাসায় থেকে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করেন এ জন্য র‌্যাব দেশবাসীকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩১ ডিসেম্বর, ২০২০)