দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: আফ্রিকার দেশ নাইজারের দুটি গ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৭৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও ১৭ জন। স্থানীয় সময় শনিবার (২ জানুয়ারি) পশ্চিম মালি সীমান্তের কাছের ওই গ্রামগুলোতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে চোম্বাঙ্গু গ্রামে ৪৯ জন ও জারোমদারে গ্রামের ৩০ জন। আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে সম্প্রতি বেশ কয়েকবার জঙ্গি হামলার মতো ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে ফ্রান্স জানিয়েছে ওই হামলায় মালিতে নিযুক্ত তাদের দুই সেনাও নিহত হয়েছেন।

এর কয়েক ঘণ্টা আগে, আল-কায়েদার সাথে সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠী জানায়, সোমবার মালিতে পৃথক আরেকটি হামলায় তিন ফরাসি সেনা নিহতের পেছনে তাদের হাত ছিল।

পশ্চিম আফ্রিকায় ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পশ্চিম আফ্রিকা এবং ইউরোপীয় মিত্রদের নিয়ে একটি জোট গঠন করে, নেতৃত্ব দিচ্ছে ফ্রান্স। তবে নাইজার এবং মালির মতো দেশগুলো প্রতিনিয়ত জাতিগত সহিংসতা, মানবপাচার, মাদক চোরাচালান এবং ডাকাতির শিকার হয়ে আসছে।

নাইজারের দুটি গ্রামে সর্বশেষ হামলার খবরটি সরকারি ফরাসি আরএফআই-এর সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। নাইজারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলকাছে আলহাদা জানান, ওই অঞ্চলটির সুরক্ষায় সৈন্য পাঠানো হয়েছে।

দেশগুলোর টিলাবেরি অঞ্চল, যেখানে গ্রামগুলো অবস্থিত, সেখানে ২০১৭ সাল থেকেই জরুরি অবস্থা চলছে। এবং পুরো নাইজারজুড়ে জিহাদী গোষ্ঠীগুলোর হামলার ঘটনা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত মাসে নাইজেরিয়ার জিহাদী গোষ্ঠী বোকো হারাম দক্ষিণ-পূর্ব ডিফফা অঞ্চলে হামলা চালিয়ে অন্তত ২৭ জনকে হত্যা করে।

নাইজারে জাতীয় নির্বাচনের মধ্যেই ওই দুটি গ্রামে সবশেষ এই হামলার ঘটনা ঘটলো। দুই দফায় পাঁচ বছর করে মেয়াদ শেষে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহামাদৌ ইসৌফু এবার পদত্যাগ করেছেন।
বিবিসি বাংলা

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৩ জানুয়ারি, ২০২১)