দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনার বছর ২০২০ সালে দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক ছিল নিম্নমুখী। তবে এর মধ্যেও রেমিট্যান্স ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সেই সঙ্গে পূর্বের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের উপর ভর করে মহামারির মধ্যেই বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ গত ৩০ ডিসেম্বর ৪৩ বিলিয়ন (৪ হাজার ৩০০ কোটি) ডলার অতিক্রম করেছে। রোববার দিন শেষে রিজার্ভে ছিল ৪৩.৩০ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ (২১.৭৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ১৮.৩৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সেই হিসাবে ২০২০ সালে ২০ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

সদ্য শেষ হওয়া বছরে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনই আসেনি। অথচ গত বছরের শুরুতেই করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হলে রেমিট্যান্সে নেতিবাচক হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। এপ্রিলে রেমিট্যান্স কমেও গিয়েছিল। কিন্তু তারপর ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স বেড়েছে।

এর মধ্যে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এসেছে ১ হাজার ২৯৪ কোটি ৪৭ লাখ (১২.৯৪ বিলিয়ন) ডলার। আর ২০১৯-২০অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি-জুন সময়ে এসেছে ৮৭৯ কোটি ৭০ লাখ (৮.৭৯ বিলিয়ন) ডলার।

গত জুলাইয়ে ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল মাসের হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ। দেশের জিডিপিতে এই রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২০২০ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২০৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে ২১.২১ শতাংশ বেশি।

চলতি অর্থবছরের ৬ মাসের ৫ মাসেই ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। আর চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলারের যে রেমিট্যান্স এসেছে তা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৭.৬০ শতাংশ বেশি। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে গত অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৪ জানুয়ারি, ২০২১)