দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমারের (পিকে হালদার) বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করতে ইন্টারপোলে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (ইন্টারপোল) মো. মহিউল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা রেড নোটিশ জারির জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। এখন ইন্টারপোল থেকে ব্যবস্থা নেবে।

গত বছর দুদক অবৈধ ক্যাসিনো মালিকদের সম্পদের তদন্ত শুরু করলে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে আসে। চলতি বছর ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি অর্থপাচার মামলায় পিকে হালদার ও তার পরিবারের ৮ সদস্যসহ পিপলস লিজিংয়ের ১২ জনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ রাখার আদেশ আপিল বিভাগে বহাল থাকে।

বিদেশে পলাতক পিকে হালদারের একাধিক বান্ধবীর নামে ৭০-৮০টি অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাও করা হয়েছে।

পি কে হালাদারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় গতকাল সোমবার পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠজন শঙ্খ বেপারীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর আগে গতকাল সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শঙ্খ বেপারীকে দুদক কার্যালয়ে ডেকে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। তার নামে পি কে হালদারের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নেন তদন্ত কর্মকর্তা।

দুদক সচিব জানান, পিকে হালদারের ফ্ল্যাটটি কিভাবে-কেন শঙ্খ বেপারীর নামে- তা নিয়েই ছিল জিজ্ঞাসাবাদ। তবে জিজ্ঞাসাবাদের বক্তব্যে পিকে হালদারের এমন আরো সম্পদ গচ্ছিত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৫ জানুয়ারি, ২০২১)