জাবি বাঁধনের ১৮তম প্রতিষ্ঠা দিবসে মিলনমেলা
জাবি সংবাদদাতা : ’বাঁধন’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জোনের ১৮তম যাত্রা শুরু দিবস উপলক্ষে একটি ভার্চুয়াল মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে বর্তমান কর্মী ও উপদেষ্টাদের নিয়ে এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
‘ একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন ‘ স্লোগানকে ধারণ করে বাঁধন দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে স্বেচ্ছায় রক্ত দান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বাঁধন দেশব্যাপী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অলাভজনক, অসাম্প্রদায়িক স্বেচ্ছায় রক্ত দাতাদের সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাঁধন, জাবি জোনের যাত্রা শুরু দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মিটিংয়ে জোনের সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান এর সঞ্চালনায় বর্তমান সভাপতি এস এম এনামুল হাসান বলেন, 'শুরু থেকেই বাঁধনকর্মীদের উদ্দেশ্য ছিল আর্তমানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করা। সেই ধারাবাহিকতায় কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা ও লক-ডাউনের মধ্যেও বাঁধন, জাবি জোন রক্তের জন্য আসা বিপদগ্রস্ত মানুষদের জন্য ডোনার ম্যানেজ করে যাচ্ছে। লক-ডাউনের মধ্যেও প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ২০০-২৫০ ব্যাগের মত ডোনার ম্যানেজ হয়েছে। বাঁধনকর্মীরা তাদের সহযোগিতামূলক মনোভাবের মাধ্যমে এই কাজ করে যাচ্ছে। এইক্ষেত্রে আমাদের ডোনারদেরও অনেক ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। বাঁধনের কাজ যেহেতু কর্মী এবং ডোনারদের মাধ্যমে হয়ে থাকে তাই বাঁধন, জাবি জোনের ১৮ তম কার্যক্রম শুরু দিবস উপলক্ষে সকল কর্মী, উপদেষ্টা এবং ডোনারদের জোনের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ জানাই।'
অনুষ্ঠানে বাঁধনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও জাবি জোনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সাহানোয়ার সাইদ শাহীন বলেন, ' সতের বছর ধরে বাঁধন আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। আমি চাই, আমাদের শুরুর যে আহ্বানটা ছিল, সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো, সকল ছাত্র ছাত্রী যেন তা সবার কাছে পৌঁছে দেয়, যাতে রক্তদান শুধু সংগঠন কেন্দ্রীক না হয়ে সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়ে। ১৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে নতুন ও পুরাতনদের প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইল'।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৫ই জানুয়ারি মওলানা ভাসানী হলের তৎকালীন আবাসিক ছাত্র বর্তমানে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক সুব্রত বণিকের হাত ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জোনের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিবছর গড়ে প্রায় চারহাজারেরও অধিক মানুষের প্রয়োজনে রক্তের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে এই জোনের কর্মীরা।
দ্য রিপোর্ট/জে/এএস/৬ জানুয়ারি,২০২১