দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সেলিম উদ্দিন বলেছেন, দেশের দারিদ্র নিরসনে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপগুলোর বাস্তবায়ন জরুরি।

এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে সোমবার আয়োজিত ‘এসডিজি-১ নো প্রভার্টি অ্যান্ড ইটস পারসপেকটিভ অন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি একথা বলেন।

ড. সেলিম উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার পরে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসনীয় ছিল। এছাড়াও এমডিজি অর্জন, আর্থসামাজিক উন্নয়নেও দেশের অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়েছে। করোনা অতিমারির গ্রাসে সারা বিশ্বের মতো দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের চলমান অগ্রগতিও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

তিনি বলেন, বেসরকারি এক সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনা পূর্ববর্তী যেখানে দারিদ্র্য হার প্রায় ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল, করোনা পরিস্থিতির ফলে তা আবার তরান্বিত হয়েছে। ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রথম লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের গৃহিত পদক্ষেপগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনায় এগোতে হবে বলে জানান তিনি।

এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহারের সভাপতিত্বে ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের সহকারী অধ্যাপক ড. শারিন শাহজাহান নওমির সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সিকান্দার খান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য জাফর আলম, অর্থনীতিবিদ শাহজাহান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন অর রশিদ হাওলাদার, ওব্যাট হেল্পার্সের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার খান, এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাব, এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের ঢাকা টিমের কোঅর্ডিনেটর ফারহানা বারি, কমিউনিকেশন এক্সিকিউটিভ তনিমা রহমান, সদস্য মনির খান প্রমুখ।

প্রফেসর সিকান্দর খান বলেন, দারিদ্রতার হার গ্রামাঞ্চলে বেশি হলেও বর্তমানে নগরভিত্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামাজিক সুরক্ষায় গ্রাম-শহরের ভেদাভেদ দূর করা জরুরি। করোনা পরবর্তীতে অভিজ্ঞতার আলোকে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করে দারিদ্র বিমোচনে কাজ করতে হবে।

নোমান উল্লাহ বাহার বলেন, সরকার সামাজিক সুরক্ষা খাতে যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ রাখলেও সুষম বণ্টন তথা প্রকৃত দরিদ্র, দুস্থ ও অসহায় মানুষের উপকার নিশ্চিত করা জরুরি। দারিদ্র্য সর্বদা বহুরূপী, এর সমাধান প্রক্রিয়াও বহুমাত্রিক পন্থায় হওয়া উচিত।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৯ জানুয়ারি, ২০২১)