যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন বাইডেন
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। বড় কোনো সংকট দেখা না দিলে আগামী চার বছর ওভাল অফিসের নিয়ন্ত্রণ থাকছে তারই হাতে।
স্থানীয় সময় বুধবার বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ১০টা) ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনে শপথবাক্য পাঠ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধান বিচারপতি রবার্টস। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিলেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জো বাইডেন।
১৮৯৩ সাল থেকে সযত্নে রাখা পারিবারিক বাইবেলে হাত রেখে শপথবাক্য পাঠ করেন বাইডেন। ২০০৯ এবং ২০১২ সালে বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার সময়ও এই বাইবেলে হাত রেখেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ডেলাওয়ারে সিনেটর হিসেবে শপথ নেয়ার সময়ও একই বাইবেলে হাত রাখেন বাইডেন।
পাঁচ ইঞ্চি পুরো এই বাইবেলের প্রচ্ছদে রয়েছে একটি সেলটিক ক্রস।
বাইডেনের প্রয়াত ছেলে বিউ যখন ২০১৩ সালে ডেলাওয়ারের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে শপথ নেন তিনিও এই পারিবারিক বাইবেলের হাত রেখে শপথ নেন।
বাইডেনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন কমলা হ্যারিস। একজন এশিয়ান-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ নারী এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই হলেন প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাকে শপথ পড়ান যুক্তরাষ্ট্র সুপ্রিমকোর্টের প্রথম হিস্প্যানিক বিচারপতি সোনিয়া সোটোমায়ার।
হ্যারিসের শপথের আগে আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন লেডি গাগা। মিনেসোটা সেনেটর অ্যামি ক্লোবাকার অভিষেক অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন।
বাইডেনের জন্য মার্কিন রাজনীতির চূড়ায় পৌঁছানোর এই পথ মোটেও সহজ ছিল না। তিনবারের চেষ্টায় এই সাফল্য ধরা দিয়েছে তার হাতে। ১৯৮৭ এবং ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বাইডেন। দু’বারই ব্যর্থ হন।
কিন্তু ২০২০ সালে আর নিরাশা নয়, ধরা দিয়েছে বহুল প্রত্যাশিত সেই সফলতা। বিপুল ভোটে জিতে ট্রাম্পের হাত থেকে কেড়ে নিয়েছেন হোয়াইট হাউসের নিয়ন্ত্রণ।
তবে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন- এটাই যেন বাইডেনের জীবনে কঠিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত কষ্ট করে তিনি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তার চেয়ে আরও কয়েকগুণ দুর্ভোগ হয়তো অপেক্ষা করছে সামনের দিনগুলোতে।
নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে বাইডেনকে। ট্রাম্প পরাজয় অস্বীকার করেছেন বারবার। ক্ষমতা হস্তান্তরে তার প্রশাসন চরম অসহযোগিতা করেছে বাইডেন টিমকে।
সবশেষ গত ৬ জানুয়ারি পার্লামেন্ট ভবনে সহিংসতা ঘটনা এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য সামনের দিনগুলো মোটেও সহজ হবে না। করোনা মহামারি, অর্থনৈতিক দৈন্যদশা, ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির কারণে যে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য বাইডেনকে বেশ ভুগতে হবে। এজন্য আগামী দিনগুলো খুব হিসাব করে পা ফেলতে হবে নতুন প্রশাসনকে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২১ জানুয়ারি, ২০২১)