জেরুজালেম ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের কণ্ঠেও ট্রাম্পের সুর!
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: জো বাইডেনের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ডেনাল্ড ট্রাম্প জামানার ইতি ঘটে গেল বুধবার। সেই সঙ্গে হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন নির্যাতিত ফিলিস্তিনিরা। তারা ভেবেছিলেন, তাদের দুর্দিন বুঝি শেষ হলো। কিন্তু মার্কিন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ফিলিস্তিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
অ্যান্থনি ব্লিংকেনের বরাত দিয়ে জেরুজালেম পোস্ট তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তিনি পবিত্র আল-কুদস বা জেরুজালেম শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইয়েলের রাজধানী মনে করেন।
মঙ্গলবার সিনেটের এক শুনানিতে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি জেরুজালেম শহরকে ইসরাইয়েলের রাজধানী মনে করেন কিনা এবং ট্রাম্পের বিদায়ের পর জেরুজালেম শহরেই মার্কিন দূতাবাস রাখা হবে কিনা। জবাবে ব্লিংকেন দুইবার হ্যাঁ বলেন।
দীর্ঘদিনের অনুসৃত নীতি উপেক্ষা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেম শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইয়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেম শহরে স্থানান্তর করেন।
ট্রাম্পের বিদায়ের পর সেই ধারা অব্যাহত থাকবে কিনা তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল, সেই প্রশ্নের অবসান ঘটালেন ব্লিংকেন। তার এই ঘোষণার পর গাজাভিত্তিক ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে জেরুজালেম শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইয়েল দখল করে নিয়েছে। ব্লিংকেনের বক্তব্যে এখন ট্রাম্পেরই সুর বাজছে।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, এটি গোটা আরব জাতির জন্য আরেকটি প্রকাশ্য অপমান।
গাজাভিত্তিক ইসলামি জিহাদ আন্দোলনও বলেছে, যেসব দেশ বাইডেন প্রশাসনের কাছে নতুন কিছু প্রত্যাশা করছিল এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে মার্কিন প্রশাসন তাদের মুখে থাপ্পড় মেরেছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২২ জানুয়ারি, ২০২১)