দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: অনেক রাজ্য আগেই অনুমতি দিয়েছিল। এবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটির সব সিনেমা হলে ১০০ শতাংশ আসন ভর্তি করা যাবে।

শনিবার একটি নির্দেশনামা জারি করে বলা হয়, যে কোনো সিনেমা হল, থিয়েটার ও মাল্টিপ্লেক্সে ১০০ ভাগ আসন পূর্ণ করা যাবে।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, গত অক্টোবরে খোলার পর থেকে এই প্রথম সম্পূর্ণ দর্শক নিয়ে হল চালাতে পারবেন মালিকরা। তারা আশা করছেন, এর ফলে লকডাউনের ক্ষতি হয়ত কিছুটা হলেও মিটতে শুরু করবে।

তবে কেন্দ্রের তরফে একসারি বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, শো-টাইম নির্দিষ্ট সময়ের দূরত্বে রাখতে হবে। মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব। টিকিট কাটার সময় যাতে হুড়োহুড়ি না হয় খেয়াল রাখতে হবে সে দিকেও। পাশাপাশি, যত সম্ভব ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থ লেনদেন করতে হবে।

গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি থেকে সরকার লকডাউন ঘোষণার পরেই বন্ধ হয়ে যায় প্রেক্ষাগৃহ। সিনেমা হল করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আদর্শ স্থান, এ বিষয়ে একমত ছিলেন বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞই। একে বদ্ধ ঘর, তার ওপর গায়ে গায়ে বসা। সব মিলিয়ে সংক্রমণ আটকাতেই বন্ধ করা হয় হল। অক্টোবরে আংশিক দর্শক নিয়ে সিনেমা হল খোলার বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হয়। এখন ভারতে করোনা সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই কমেছে। সেই কারণে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে সবই।

তবে অক্টোবরে হল খোলা হলেও দক্ষিণ ভারতীয় ‘মাস্টার’ ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি বা ব্যবসা করেনি। বড় বাজেটের ছবি মুক্তি নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)