দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: হাফ সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন কাইল মেয়ার্স। কিন্তু তাকে ১০ রানের আক্ষেপে পোড়ালেন মিরাজ। এই ডানহাতি স্পিনারের কাছে এলবিডাব্লিউ হয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৬৫ বলে ৭ চারে ৬৪ রান করেন। জার্মেইন ব্ল্যাকউডের সঙ্গে তার জুটি ছিল ২৪ রানের।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ১৬৪ রান।

এর আগে দিনের প্রথম বলেই উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান এনক্রুমাহ বোনারকে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানান তাইজুল ইসলাম। ১৭ রানে আউট হন বোনার।

অপ্রতিরোধ্য ব্যাটসম্যান ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে ফিরিয়ে দিলেন বাংলাদেশের স্পিনার নাঈম হাসান। নিজের সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ককে বোল্ড করেন তিনি। ৮৬ বলে ফিফটি করার পর উইন্ডিজ ওপেনার থেমেছেন ৭৬ রানে। ১১১ বলে ১২টি চারে এই রান করেন ব্র্যাথওয়েট।

এর আগে বাংলাদেশের ৪৩০ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৪ রান না হতেই দুই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুটি উইকেটই তুলে নেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর খেলার হাল ধরেন ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও চারে নামা এনক্রুমা বোনার। দুজনের তৃতীয় উইকেটের জুটি থেকে আসে ৫১ রান। ৬৪ টেস্ট খেলা অভিজ্ঞ ব্র্যাথওয়েট ক্যারিয়ারের ২০তম হাফ সেঞ্চুরির পথে। তার ব্যাট থেকে আসে ৮১ বলে ৪৯। বোনারের রান বেশি না হলেও তিনি খেলছেন টেস্ট মেজাজে। ১৭ রান করতে তিনি খেলেন ৫৮ বল। ২৯ ওভারের খেলা শেষ হতেই দ্বিতীয় দিনের খেলা সমাপ্তির ঘোষণা দেন আম্পায়ার।

এর আগে প্রত্যাবর্তন টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি পান সাকিব আল হাসান। বেশ ঝলমলে ছিল সাকিবের সকালটা। তবে সাকিবের রং ছড়ানো ব্যাটিং স্থায়ী হয়নি লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত। কিছুটা আফসোস থেকেই গেল। ক্রিজে সেট হয়েছিলেন, প্রত্যাশাও বাড়িয়েছিলেন, সাকিবের কাছে চাওয়াটাও ছিল আরো বেশি। কিন্তু পারলেন না প্রত্যাবর্তন টেস্টে হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরি বানাতে। রাকিম কর্নওয়াল সাকিবকে শিকার করেন। লাফিয়ে উঠা বলকে কাট করতে গিয়ে উইন্ডিজ অধিনায়কের হাতে ক্যাচ দেন। সাকিবের রান তখন ৬৮। আর এই আউটে উইন্ডিজরা সেশনে জোড়া উইকেট শিকারে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা কাজে লাগায়।

সাকিব-লিটন জুটি দিনের শুরুটা করেন। লিটন আগের দিনের সঙ্গে চার রান যোগ করে ৩৮ রানে আউট হন। এছাড়া তাইজুল ১৮ এবং নাঈম হাসান ২৪ রান করেন। উইন্ডিজেদর মধ্যে সফল বোলার জোমেল ওয়ারিকান। ১৩৩ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার। এছাড়া দুই উইকেট পেয়েছেন রাকিম কর্নওয়াল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনশেষে বাংলাদেশের প্রাপ্তি মিরাজের সেঞ্চুরি। মিরাজ দেখিয়ে দিলেন চাইলেই ৮ নাম্বারে নেমে সেঞ্চুরি করা যায়। ২০১৬ তে অভিষেক হওয়া মিরাজ সেঞ্চুরি দেখলেন ২০২১ এসে। শেষ পর্যন্ত মিরাজের আউটেই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৩০ রানে। ১০৩ রানে থামেন এই অলরাউন্ডার।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)