দীপন হত্যার রায় বুধবার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের দোকানে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় আগামীকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা করা হবে। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই রায় ঘোষণা করবেন।
মামরার আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব, মইনুল হাসান শামীম, আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ও শেখ আব্দুল্লাহ। পুলিশ বলছে, এরা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছে। আর বাকিরা কারাগারে। গ্রেফতার সবাই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলায় ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষ্য প্রমাণ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। আশা করছি, প্রত্যাশা অনুযায়ী সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডই হবে।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে হত্যার শিকার হন দীপন। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে। এ ঘটনার পর দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিন বছর পর ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ফজলুল রহমান।
এরপর ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার ওই আট আসামির বিচার কাজ শুরু হয়। জিয়াসহ দুই আসামি পলাতক দেখিয়ে বিচার শুরুর এক বছর তিন মাসের মাথায় আলোচিত এ মামলা রায় ঘোষণা হচ্ছে।
গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে। এ সময় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চান তারা। পরে আসামিরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করলে রায়ের জন্য রাখেন বিচারক।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)