দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রথমে বুকে ছুরি চালিয়ে নিশ্চিত করা হয় মৃত্যু। এরপর মরদেহের হাত পা কেটে পাঁচ টুকরো করে ফেলে রাখা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও খুনি ছিলো নির্বিকার।  প্রেমের সম্পর্কে ভাটা পড়ায় এই হত্যাকাণ্ড বলে স্বীকারোক্তিও দিয়েছে হত্যাকারী।  এমন রোমহষর্ক ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর ওয়ারীর কে এম দাস লেনে।

তিনদিন আগে স্ত্রী নিখোঁজ অভিযোগ করে ওয়ারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন স্বামী। সেই অভিযোগের তদন্ত করছিলো ওয়ারী থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযোগকারী থানায় এসে জানান, তার স্ত্রী বিপদে পড়েছে জানিয়ে সাহায্য চেয়ে কল করেছে তাকে।

সেই সূত্র ধরে ১৭/১, কে এম দাস লেনের এই বাড়িতে আসে পুলিশ। চারতলার এই কক্ষের দরজা খুলে পুলিশ দেখে, পাঁচ টুকরো মরদেহের সামনে বসে আছেন নিখোঁজ ওই নারী।

স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বছর ছয়েক আগে একটি কক্ষ ভাড়া নেন সজীব হোসেন। এই বাসায় স্ত্রীর পরিচয় দেয়া শাহানাজ দিনের বেলায় আসতেন প্রায়ই। তবে, থাকতেন না রাতের বেলায়।

গত মঙ্গলবার এই বাসায় এসে ওঠেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে কথা কাটাকাটির জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানায় পুলিশ। কোন বিবাদের জেরে এমন ঘটনা তা তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)