দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর ওয়ারীর একটি বাসা থেকে যুবকের পাঁচ টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আটক শাহনাজ পারভীনকে একমাত্র আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ওয়ারী থানা-পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে। ওই নারী এখন থানা হেফাজতে রয়েছেন।

শুক্রবার গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত একাই হত্যা করার কথা ওই নারী স্বীকার করেছেন। এরপরও হত্যার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, সেটা তদন্ত করছে পুলিশ। আজ ওই নারীকে আদালতে তোলা হতে পারে।

এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে ওই নারীর রিমান্ড চাওয়া হবে। সাইফুলের লাশ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। নিহত যুবকের পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা থানায় যোগাযোগ করেছেন।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর ওয়ারীর কে এম দাস রোডের একটি বাসা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সজীব হাসান (৩৫) নামে এক যুবকের লাশের পাঁচ টুকরা উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় লাশের টুকরার পাশে বসা থাকা শাহনাজ পারভীন (৫০) নামে নারীকে আটক করা হয়।

ওয়ারী বিভাগের পুলিশ জানায়, তিন দিন ধরে শাহনাজ নিখোঁজ ছিলেন। নিহত সজীব বুটিকসের কাজ করতেন। শাহনাজের সঙ্গে সজীবের পাঁচ বছর আগে সম্পর্ক হয়।

তখন শাহনাজকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে সজীব ১৭/১ কে এম দাস লেনের চতুর্থ তলায় বাসা ভাড়া নেন। শাহনাজের বাসাও একই এলাকায়। তখন থেকে শাহনাজ সজীবের বাসায় নিয়মিত যেতেন। শাহনাজ সজীবের বাসায় বুটিকসের কাজ শিখছেন বলে তার স্বামীকে বলে যেতেন। তার স্বামী একজন ব্যবসায়ী। তার দুই ছেলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন এবং একমাত্র মেয়ে কলেজে পড়েন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)