ফরীদি নেই নয় বছর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বরেণ্য অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি। আশি ও নব্বইয়ের দশকের মঞ্চ ও টিভি নাটকে তিনি ছিলেন তুমুল জনপ্রিয় মুখ। নায়ক কিংবা খলনায়ক- সব চরিত্রে সমান সফল এই গুণী শিল্পী কাটিয়েছেন বর্ণাঢ্য জীবন। আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী। ফাগুনের রঙে বিষাদ ছড়িয়ে ২০১২ সালে ফরীদি মারা যান।
ফরীদির বন্ধু অভিনেতা আফজাল হোসেন বলেন, ‘দেশের অনেক গৌরবগাথার মতো ফরীদিও একটি গৌরব। কিন্তু প্রচণ্ড ভালো এই অভিনেতাকে আমরা দুর্দান্ত সব কাজ করার মতো পরিবেশ দিতে পারিনি। হতাশ হওয়ার আগেই সে চলে গেছে।’
১৯৭৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত নাট্যোৎসবে অভিনয় করে প্রশংসিত হন ফরীদি। এরপর তিন দশকেরও বেশি সময় মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রঙ ছড়িয়েছেন। নিজেকে ক্রমেই নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। অভিনয়ের সব মাধ্যমেই যোগ করেছেন বহুমাত্রিক ব্যঞ্জনা।
হুমায়ুন ফরীদির জন্ম ১৯৫২ সালের ২৯ মে, ঢাকার নারিন্দায়। ১৯৭০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেন চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে ভর্তি হন স্নাতক পড়তে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ায় খাতা-কলম বাক্সবন্দি রেখে কাঁধে তুলে নেন রাইফেল।
স্বাধীনতার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষাজীবন শুরু করেন হুমায়ুন ফরীদি। সেলিম আল দীনের কাছে নাট্যতত্ত্বে দীক্ষা নেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই সদস্যপদ পান ঢাকা থিয়েটারের। মঞ্চ দিয়েই তার অভিনয় জীবনের শুরু।
১৯৮২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘নীল নকশার সন্ধ্যায়’ ও ‘দূরবীন দিয়ে দেখুন’ নাটকে অভিনয় করে তিনি তাক লাগিয়ে দেন। তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক’ আজও দর্শকের স্মৃতির পাতায় ভাস্বর। ফরীদি প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তানভীর মোকাম্মেলের ‘হুলিয়া’য়। তার প্রথম বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘সন্ত্রাস’। তিনি ‘মাতৃত্ব’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ২০০৪ সালে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)