দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ‘অঞ্জনা’ মনির খানের শ্রোতাপ্রিয় একটি গান। ‘একটি গান’ না-বলে একে গায়কের ট্রেডমার্কও বলা যায়। কেননা, মনির খানের অধিকাংশ অ্যালবামে অঞ্জনার কথা ঘুরেফিরে এসেছে। এই শিরোনামে তিনি একাধিক গান গেয়েছেন। ফলে অঞ্জনাকে নিয়ে ভক্তদের রয়েছে বাড়তি কৌতূহল। ভক্তদের অনেকে মনে করেন- অঞ্জনা মনির খানের হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকা!

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে মনির খানের কাছে জানতে চাওয়া হয় অঞ্জনা সর্ম্পকে। তিনি অকপটে জানান তার হারিয়ে যাওয়া সেই প্রেমের গল্প।

‘অঞ্জনাকে ভালোবেসেই জীবন কাটালাম। সে আমার কৈশোরের ঘটনা। না-হলে এত বছর তাঁকে মনের ঘরে পুষে রাখতে পারতাম না’- বলেন মনির খান। বর্তমানে অঞ্জনা সৌদি আরব প্রবাসী। জীবনের এতটা বছর পেরিয়ে এসেও তাঁকে ভুলে যাননি শ্রোতাপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী।

স্কুলজীবনে অঞ্জনার প্রেমে পড়েন মনির খান। তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি স্কুলে অঞ্জনা পড়তো ক্লাস সেভেন-এ। আমি নাইন-এ। আমাদের প্রেম আসলে সেভাবে প্রপোজ করে হয়নি। একসঙ্গে চলাফেরা; এর মধ্যে দিয়ে দারুণ একটা বোঝাপড়া তৈরি হয় দুজনের মধ্যে। এখন প্রেম-ভালোবাসা কমার্শিয়াল লাইনে চলে গেছে। কে কতটুকু পাচ্ছে- এ নিয়ে হিসাব হয়। তখন এমন ছিল না। রিয়েল লাভ তখন ছিল। যদিও আমাদের দুজনের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ঈশ্বর হয়তো চাননি, তাই আমাদের প্রেম পূর্ণতা পায়নি।’

প্রেমের ক্ষেত্রে বাধা কোথায় ছিল? এ প্রশ্নের জবাবে মনির খান বলেন, ‘আমাদের রিলেশন সাত বছর পর্যন্ত ছিল। বুঝতে পেরে ওর বাবা অঞ্জনাকে বিদেশ পাঠিয়ে দেয়। তখন আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। বিত্তের মাঝে চিত্তের সুখ খুঁজছিলেন তারা। আমরা বিত্তশালী ছিলাম না বলেই হেরে গিয়েছিলাম।’

অঞ্জনার সঙ্গে মনির খানের সর্বশেষ ৩৩ বছর আগে দেখা হয়েছে। এরপর আর হয়নি। এখন দুজনেই যে যার মতো ঘর-সংসার করছেন। দুজনেই সুখী। অঞ্জনাকে নিয়ে গান গাওয়াতে মনির খানের স্ত্রীর কোনো আপত্তিও নেই। বরং অঞ্জনার গান ভালো না-হলে তিনি আরো সুন্দর করে গাওয়ার অনুপ্রেরণা দেন। এ প্রসঙ্গে মনির খান বলেন, ‘কারণ সে জানে এটা শ্রোতাদের ডিমান্ড। এই ডিমান্ড ফুলফিল করতে উল্টো সে আমাকে তাগিদ দেয়।’

অঞ্জনাকে নিয়ে ২৬টি গান গেয়েছেন মনির খান। সর্বশেষ গত বছর বাজারে আসে ‘অঞ্জনা-২০২০’ শিরোনামে গান। এই গানে অঞ্জনাকে মীরজাফর, রাজাকার, বেঈমানের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)