দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে চলমান ধরপাকড় অভিযান আরো জোরালো করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে নতুন একটি আইন প্রণয়ন করেছে জান্তা সরকার। আইনটির আওতায় এখন থেকে মিয়ানমারের অধিবাসীদের বাড়িতে রাত্রিকালীন কোনো অতিথি অবস্থান করতে পারবে না। যদি কোনো অতিথি অবস্থান করে, তাহলে অবশ্যই তা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সেনাবাহিনী পরিচালিত ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিয়ানমারে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে। রাজপথে নেমে আসছে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভ দমনে পুলিশও কঠোর হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সেনা অভ্যুত্থানের দিনেই নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিসহ উর্ধ্বতন নেতাদের গ্রেপ্তারের পর বহু বিক্ষোভকারীকেও আটক করা হচ্ছে। তবে তাতেও দমানো যাচ্ছে না বিক্ষোভ।

এমন অবস্থায় ওয়ার্ড অর ভিলেজ ট্র্যাক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নামক আইনটিতে সংশোধনী নিয়ে আসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। নতুন আইন অনুযায়ী, কোনো বাসিন্দা যদি তাদের বাড়িতে অতিথি থাকার খবর স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে, তবে তাদেরকে জরিমানা কিংবা কারাদণ্ড করা হতে পারে।

শনিবার মিয়ানমারের জান্তা সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অভিযান সহজ করতে আরো কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সন্দেহভাজনদের আটক ও ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চালানোর আগে আদালতের অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা রেখে যেসব আইন চালু ছিল, সেগুলো বাতিল করা হয়। অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের শক্ত সমর্থক হিসেবে পরিচিত মানুষদেরকে গ্রেপ্তার করারও আদেশ দেয়া হয়।

এদিকে, সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারের বড় শহরগুলোতে শনিবার রাতেও বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। বিভিন্ন এলাকায় টহলপার্টি গঠন করে বিক্ষোভ করেছে তারা। শনিবার রাতে মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনের উপকণ্ঠে সাদা কাপড় পরে বিক্ষোভ করেছে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চির মুক্তির দাবি করে তারা। অনেকে রাতের বেলা গ্রেপ্তার বন্ধের আহ্বান জানানো প্ল্যাকার্ড বহন করে। এছাড়া, রাজধানী নেপিডোতে মহড়া দিয়ে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মোটরসাইকেল ও গাড়ির আরোহী।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)