দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৫ ম্যাচের একটিতেও নেই জয়ের দেখা। জোড়া-তালি দিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ বাংলাদেশ।

হোমে এতো বড় লজ্জার পর মুমিনুল মনে করছেন টেস্টে কোন উন্নতি হয়নি বাংলাদেশের। ঢাকা টেস্ট শেষে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে এ কথাই বলেছেন মুমিনুল। ভার্চুয়াল কনফারেন্সের চৌম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

০ টাফ লাক ?
মুমিনুল : হ্যাঁ, কঠিন ভাগ্য বলতেই হয়। যে স্কোর ছিল তা তাড়া করা যেত। টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডারে ভেঙ্গে পড়ার কারণে রান তাড়া করতে পারিনি।

০ ব্যাটিং করা কি কঠিন ছিল?
মুমিনুল : না পুরো চারদিনই ব্যাটিং খুব কঠিন মনে হয়নি। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু কঠিন উইকেট থাকলে সেটি মানিয়ে নিতে হবে। খুব বেশি বাউন্সও ছিল না। কর্নওয়াল কিছু বাউন্স পেয়েছে তাঁর উচ্চতার জন্য। আমাদের মানিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। সেটা আমরা করতে পারিনি। যার কারণে দ্বিতীয় টেস্টটা হাত থেকে চলে গেছে।

০ কোথায় পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ ?
মুমিনুল : ব্যাটিংয়ে আমরা ভেঙ্গে পড়েছি। সেখান থেকে আমরা ফিরতে পারিনি। প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ইনিংস বলেন।

০ ধ্বসের কারণ ?
মুমিনুল : নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। হয়তো আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

০ চট্টগ্রামের হারে অবাক হয়েছিলেন, এখানেও কি অবিশ্বাস্য লাগছে?
মুমিনুল : অবিশ্বাস্য না। প্রথম ইনিংসেই কিন্তু ওরা এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে বোলাররা খুব ভালো বল করেছে। ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তামিম ভাই, সৌম্য যেভাবে শুরু করেছিল, তখন মনে হয়েছিল আমরা খেলায় ছিলাম। হঠাৎ দুই-তিনটা উইকেট পড়ে যাওয়াতে আমরা একটু পিছিয়ে পড়ি। শেষের দিকে মিরাজ খুব ভালো ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। মাঝখানে একটু উল্টোপাল্টা হয়ে গিয়েছে, যার কারণে আমরা ফিরতে পারিনি।

০ সৌম্যর দলে থাকা নিয়ে ?
মুমিনুল : আগেও বলেছি, সাকিব ভাই চলে যাওয়াতে আমাদের দলের সমন্বয় একটু ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল। আমার একজন মিডিয়াম পেস যিনি ব্যাটিং করেন, এমন কাউকে দরকার ছিল। আর সৌম্য অভিজ্ঞও ছিল। সম্প্রতি ওয়ানডেও খেলেছে। কিন্তু আপনি যখন হারবেন তখন অবশ্যই চোখ পড়বে। যদি জিতলাম হয়তো...(হাসি)।

০ ব্রাফেটের তিন উইকেট নেওয়া ?
মুমিনুল : খুব বেশি কঠিন ছিল না। একটু ইতিবাচক খেললে হয়তো চিত্রটা অন্যরকম হতে পারত।

০ ইতিবাচক মানসিকতার কথা বলা হয়, সেটা কি চট্টগ্রামেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে?
মুমিনুল : চট্টগ্রাম টেস্টে আমরা খুবই ইতিবাচক ব্যাটিং করেছি। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা সেই রকম ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে পারিনি।

০ অধিনায়ক হিসেবে ধবল ধোলাইয়ের অভিজ্ঞতা ?
মুমিনুল : বিদেশের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের অভিজ্ঞতা ছিল। দেশের মাটিতেও হয়ে গেল। দল হারলে আপনি অবশ্যই হতাশ হবেন। আমাদের অনেক উন্নতি করার আছে। যেগুলো করতে পারলে হয়তো আমরা দেশে ও দেশের বাইরে ম্যাচ জিততে পারব।

০ স্টপ-স্টার্ট ইনিংস ?
মুমিনুল : ওইরকম কোনো কারণ নেই। হয়তো আমাদের এটা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। আরেকটু ভাবতে হবে, আরেকটি পরিকল্পনা করতে হবে। সামনেই শ্রীলঙ্কা সিরিজ। আশা করি সেখানে ভালোভাবে ফিরতে পারব।

০ ২০ বছর হয়ে গেছে, উন্নতি জায়গা ?
মুমিনুল : আসলেই ২০ বছর হয়ে গেছে। তবে আমার মনে হয় ওইভাবে কোনো উন্নতিই হয়নি। আর উন্নতির শেষ নেই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুযোগ থাকে। আমরা যতদিন খেলব, যতদিন বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করব, ততদিন উন্নতি করতে হবে।

০ দলের সঠিক সমন্বয় ?
মুমিনুল : সাকিব ভাই না থাকলে সঠিক সমন্বয় গড়া একটু কঠিন হয়। আমি আগেই বলেছি, দল হারলে অনেককিছুরই কমতি মনে হয়। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যখন আমরা জিতেছিলাম তখন এতো কিছু বের হয়নি।

০ সামনে শ্রীলঙ্কা সফর ?
মুমিনুল : ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস খেলার অভ্যাস গড়তে হবে। লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এটাই। ব্যাটসম্যানরা যদি তিন-চার সেশন ব্যাটিং করতে পারে, তাহলে টেস্ট দলের জন্য সহজ হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)