দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ‘শিক্ষা আইন ২০২০’-এর খসড়া চূড়ান্তে বৈঠক ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।

জানা গেছে, শিক্ষা আইনে শিক্ষার্থীদের জন্য সব ধরনের নোট-গাইড নিষিদ্ধের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সহায়ক বই প্রকাশ করা যাবে। শিক্ষকরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট-কোচিং করাতে পারবেন না, তবে ফ্রিল্যান্সিং কোচিং চালাতে কোনো বাধা নেই। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলাকালে কোচিংয়ে যেতে পারবে না। শিক্ষকরা কোনোভাবেই নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিংও করাতে পারবেন না।

প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের খসড়ার ১৬ ধারার ১ ও ২ উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো ধরনের নোট বই বা গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা যাবে না। এই বিধান লঙ্ঘন করলে অনূর্ধ্ব তিন বছর কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

উপধারা ৩-এ বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নোট বই বা গাইড বই ক্রয় বা পাঠে বাধ্য করলে বা উৎসাহ প্রদান করলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, ব্যবস্থাপনা কমিটি বা পরিচালনা কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক এখতিয়ারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

উপধারা ৪-এ বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সহায়ক পুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা যাবে।

প্রস্তাবিত আইনের ৩০ ধারার ১ উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট টিউশনের মাধ্যমে পাঠদান করতে পারবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের লিখিত সম্মতি সাপেক্ষে স্কুল সময়ের আগে বা পরে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি বা নীতিমালা অথবা জারি করা পরিপত্র বা নির্বাহী আদেশ অনুসরণপূর্বক অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

জানা যায়, ২০১১ সাল থেকেই শিক্ষা আইন নিয়ে কাজ শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে একাধিকবার মতামত নেয়ার পর খসড়া তৈরি হয় এবং একবার মন্ত্রিসভায়ও উপস্থাপন করা হয়েছিল, কিন্তু নানা অসংগতির কারণে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা ও আইন) খালেদা আক্তার বলেন, শিক্ষা আইনের খসড়া তৈরিতে মন্ত্রণালয়ের সব কাজ শেষ হয়েছে। আজ এই খসড়া চূড়ান্ত করতে বৈঠক ডাকা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে তা দ্রুতই মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)