মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে সবাই এক কাতারে
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: জাতিগত সংখ্যালঘু, কবি, পরিবহন শ্রমিক-সবাই নেমে এসেছেন রাজপথে। শনিবার সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিতে এরা সবাই একজোট হয়েছেন।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাাবাহিনী। নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিজয়ীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রতিশ্রুতি দিলেও অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ অব্যাহত আছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্ডালেতে শিপইয়ার্ড শ্রমিকদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ। এখানে এক বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে।
নেপিদুতে ৯ ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভে মাথায় গুলিবিদ্ধ তরুণী মেয়া থুই থুই খাইং শুক্রবার মারা যান। প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে তরুণরা মেয়ার স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে। একই রকম কর্মসূচি পালন করা হয়েছে রাজধানী ইয়াঙ্গুনে ।
নেপুদিতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী খিণ ম ম উ বলেছেন, ‘তার মৃত্যুর শোক একটি বিষয়, তবে আমরা তার পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সাহস পেয়েছি। আমাদের তার স্থলাভিষিক্ত হতে ১০০ জন মানুষ প্রয়োজন
ইয়াঙ্গুনে জাতিগত সংখ্যালঘুরা রঙিন পোশাক পরে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। তারা ফেডারেল শাসন ব্যবস্থার দাবিও জানিয়েছে।
নাগা উপজাতির তরুণ নেতা কি জাং বলেছেন, ‘আমাদেরকে অবশ্যই এই লড়াইয়ে জিততে হবে। আমরা একসঙ্গে জনগণের পাশে দাঁড়াব। আমরা স্বৈরতন্ত্রের অবসানের আগ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)