নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীতে দুই কলেজশিক্ষার্থীকে আটকের পর একজনের বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্রী বাদী হয়ে সুধারাম থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। তবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

ভুক্তভোগীরা বন্ধু-বান্ধবী ও সহপাঠী।

মামলার এজাহারে কলেজছাত্রী অভিযোগ করেছেন, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কলেজছাত্রীর সহপাঠী কিছু নোট নিয়ে দেখা করতে আসেন। তখন কলেজছাত্রীর বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। ছোট ভাই মসজিদে নামাজ পড়তে যান।

এ সময় বাড়ির ফটকে দাঁড়িয়ে সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলিছেলেন কলেজছাত্রী। হঠাৎ একই এলাকার আকবর, রায়হান ও পুলক মজুমদার তাদের ঘিরে ধরেন। পরে দুজনকে ঘরের ভেতর একটি কক্ষে আটকে রাখেন। একপর্যায়ে সহপাঠীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মির পর তার সামনে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন। সেই সঙ্গে ছাত্রীর জামা-কাপড় ছিঁড়ে বিবস্ত্রের চেষ্টা করেন তারা।

এমনকি ছাত্রীকে তাদের সঙ্গে অনৈতিক কাজের জন্য চাপ দেন। এরপর মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা নেন।

তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে বখাটেরা চলে যান। যাওয়ার সময় ধারণকৃত ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন।

এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় কলেজছাত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তার ও ধারণকৃত ভিডিও উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)