দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শের-ই বাংলায় বাড়তি ব্যস্ততা নেই। নারী দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দল অনুশীলন করলেও খুব একটা মাতামাতি নেই। মিরপুরের প্রাণভোমরারা এখন নিউ জিল্যান্ডে। তবে শের-ই বাংলায় হঠাৎ করে বাড়তি ব্যস্ততা দেখা যায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দল রাজস্থান রয়্যালসের প্রতিনিধি দলের আগমনকে কেন্দ্র করে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির চেয়ারম্যান বারঠাকুরের নেতৃত্বে মিরপুরের মাঠ পরিদর্শন করেন প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার আব্দুল বাতেন, বিসিবির প্রধান পিচ কিউরেটর গামিনি ডা সিলভা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন।

তারা পুরো স্টেডিয়ামসহ বিসিবি একাডেমি মাঠ সবকিছু দেখেন পুঙ্খনাপুঙ্খভাবে। যাচাই করেন আভ্যন্তরীণ সুযোগ-সুবিধা। এখানে আসতে পেরে খুশি রাজস্থানের চেয়ারম্যান বারঠাকুর।

কিন্তু কেন এসেছেন তারা? পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বারঠাকুর সেটাও খোলাসা করেছেন । দুই দেশকে নিয়ে যৌথ উদ্যোগে কাজ এগিয়ে যেতে চান। করতে চান ক্রিকেটার বিনিময়।

বারঠাকুর বলেন ‘দ্বিতীয়বার আমি এখানে এসেছি। আমরা কীভাবে বাংলাদেশ জেলা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির মধ্যে কোঅপারেশন করতে পারি এবং কীভাবে আমরা বিনিময় প্রোগ্রামগুলো করতে পারি সেটা দেখতে। যাতে আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের অঞ্চলগুলো নিয়ে যৌথভাবে উন্নতি করতে পারি।'

ক্রিকেটারদের জন্য রাজস্থান করতে চায় একাডেমিও। বারঠাকুর বলেন, ‘আমি ভাবছি এখানে (বাংলাদেশে) একাডেমি করবো। রয়্যাল একাডেমি। যদিও এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি, ভাবনার মধ্যে আছে।’

প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকা বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার আব্দুল বাতেন মুঠোফোনে জানান তারা মিরপুরের অবকাঠামোসহ সুযোগ-সুবিধা দেখে খুশি। তবে ঠিক কী কারণে তারা হঠাৎ করে মাঠে এসেছেন এটা তিনি স্পষ্ট করে বলতে পারেননি।

আব্দুল বাতেন বলেন, ‘আমার মাঠ দেখানোর দায়িত্ব ছিল, আমি উনাদের মাঠ দেখিয়েছি। শের-ই বাংলাসহ একাডামি মাঠ সবকিছুই তারা ঘুরে-ফিরে দেখেছেন। মাঠের সুযোগ-সুবিধা দেখা উনারা খুব খুশি। তবে কোনো ক্যাম্প করবে কী না আমার জানা নাই। এটা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলতে পারবেন।‘

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৪ মার্চ, ২০২১)