ভালো মানুষ ছিলেন মুশতাক : কারা কর্তৃপক্ষ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দীর্ঘ ১০ মাস কারাভোগের পর সেখানেই মারা যান লেখক মুশতাক আহমেদ। তার মৃত্যুর পর কারা কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে- তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। কারাগারে কারও সঙ্গে কখনো উত্তেজিত হননি।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কারাগারের ফোন বুথ থেকে টেলিফোনে বাবার কাছ থেকে স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জেনে তিনি (মুশতাক) হতাশ হয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে অন্য বন্দীদের সঙ্গে বারবার নিজের জামিন না হওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
তদন্ত কমিটি গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার, জেলার, বন্দীসহ মোট ২৫ জনের সাক্ষ্য ও জবানবন্দী নিয়েছে। তাদের প্রায় সবাই মুশতাক সম্পর্কে একই কথা বলেছেন। প্রতিবেদনটি গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, মুশতাকের মৃত্যু ‘ন্যাচারাল ডেথ’ (স্বাভাবিক মৃত্যু)। এর সঙ্গে অন্য কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কেও মতামত দিয়েছে। প্রতিটি কারা হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট জনবল বৃদ্ধি করাসহ নয়টি সুপারিশ করেছে তারা।
যে কারাগারে মুশতাক বন্দী ছিলেন, সেই কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মুশতাক আহমেদ অত্যন্ত ভদ্র ও চুপচাপ স্বভাবের ছিলেন। ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। কোনো দিন সমস্যা বা অসুবিধার কথা বলতেন না। কারাগারে ইতিহাসবিষয়ক ও অন্যান্য বই পড়তেন।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৫ মার্চ, ২০২১)