ব্রিটিশ রাজপরিবারে বর্ণবাদের শিকার মেগান
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বছরখানেক আগে ব্রিটিশ রাজপরিবার ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বসবাস শুরু করেন প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মারকেল। টেলিভিশনের উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ রাজপরিবারে থাকার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন তারা।
মেগান মারকেল বলেন, তার সন্তান আর্চির গায়ের রং নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জানা গেছে, মেগানের মা ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ এবং বাবা শ্বেতাঙ্গ।
মেগানের দাবি, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যের সঙ্গে বিয়ের আগে তিনি সরল ছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর রাজপরিবারে গিয়ে তিনি আত্মহত্যার কথা পর্যন্ত ভাবতে বাধ্য হন।
প্রিন্স হ্যারির উপস্থিতিতে অপরাহ উইনফ্রেকে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় এসব কথা বলেন মেগান। তার ওই সাক্ষাৎকার গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস টেলিভিশনে সম্প্রচার হয়।
মেগান মারকেল বলেন, তারা চায়নি যে (তাদের সন্তান) রাজপুত্র বা রাজকন্যা হোক। তারা জানেন না যে সন্তানের লিঙ্গ কী নির্ধারণ করা হবে। তবে তা প্রোটোকল থেকে আলাদা হবে এবং সে (তাদের সন্তান) নিরাপত্তা নিতে যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, যখন আমি গর্ভবতী ছিলাম, সেই মাসগুলোতে আমাকে শুনতে হয়েছে- তুমি নিরাপত্তা পাবে না, এমনকি পদবিও পাবে না। এছাড়া, সন্তান জন্মের পর তার গায়ের রং কালো হবে, তা নিয়েও কথা শুনতে হয়েছে। যদিও মারকেলকে এসব কথা কে বলেন, সে ব্যাপারে মুখ খোলেননি তিনি। পরে বলবেন বলে জানান।
প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মারকেল ২০১৮ সালে বিয়ে করেন। রাজপরিবার ছেড়ে তারা এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছেন। মারকেলের ওই সাক্ষাৎকার নিয়ে বাকিংহাম প্যালেস থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে মারকেলকে বিরক্ত করার অভিযোগ তদন্ত করার আশ্বাস এসেছে এবং এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সূত্র: আল জাজিরা
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৮মার্চ, ২০২১)