‘আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত নয়’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন,ব্যাংক ও আর্থিক খাতের একেকটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক চিত্র একেক রকমের হয়।তাই সবার জন্য একই সীমা নীর্ধারণ করে দেওয়া উচিত হবেনা।তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর নিরীক্ষা প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা বাড়াতে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বিএসইসির সাথে বৈঠক করবে। শনিবার(১৩ মার্চ)ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক অর্থনীতি ও ব্যবসা বিষয়ক মাসিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডের উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। আগামীতে মিউচুয়াল ফান্ডে বড় ধরনের বিদেশি বিনিয়োগ আসবে।এই কোয়ার্টারে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো ভালো করছে।ফান্ডগুলো ডিভিডেন্ড দিতে শুরু করেছে। আশা করছি, বিনিয়োগকারীরা ডিভিডেন্ড পেলে তাদের মধ্য বিশ্বাস এবং আস্থা আসবে। এতে এ সেক্টর ঘুরে দাঁড়াবে।
দুই বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে অনেক বড় পরিবর্তন দেখা যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২ বছর পর আমরা শ্যালো ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। প্রত্যেকটি রেগুলেটরের নিজস্ব দায়-দায়িত্ব আছে। সে দায়িত্ব অনুযায়ী, তাদের কাজ করতে হয়। পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বড় কিছু সংস্কার শুরু হয়েছে বাজারে। চালু হতে যাচ্ছে নতুন নতুন পণ্য। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের(বিএসইসি) নেওয়া উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে আগামী বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ ফ্রন্টিয়ার মার্কেট থেকে এমার্জিং মার্কেটে উন্নীত হতে পারে। কোন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে, কীভাবে তালিকাভুক্ত হবে, কেমন লভ্যাংশ দেবে, কীভাবে এজিএম করবে — এসব বিষয় দেখভাল করা বিএসইসির দায়িত্ব। সম্প্রতি আমরা খেয়াল করেছি, বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের সাথে আলোচনা না করেই কিছু কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।
কিছুদিনের মধ্যে নতুন কিছু ট্রেক ইস্যু করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি, স্মল ক্যাপ বোর্ড ও অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট বোর্ডের কার্যক্রম শুরু হবে। বাজারে ইক্যুইটি শেয়ারের উপর নির্ভরতা কমাতে কার্যকর বন্ড মার্কেট গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রোড শো আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের পরিচিতি বাড়ানো ও ভাবমূর্তি উন্নয়নেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতদিন বিদেশীদের কাছে দেশের সব নেতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়েছে। পুঁজিবাজার ও দেশের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য বিএসইসি বিভিন্ন দেশে রোড শো আয়োজন শুরু করেছে, দুবাই শহরে রোড শো আয়োজনের মাধ্যমে যা শুরু হয়েছে। ওই রোড শোর পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে জানান তিনি।
তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর নিরীক্ষা প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা বাড়াতে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইসিএবির সাথে বিএসইসি ও এফআরসি একটি চুক্তি সই করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও তাতে সই করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আগামী ৩০ বছর পর আমাদের আর বিদেশী বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি শারমিন রিনভী।সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলাম।
দ্য রিপোর্ট/এএস/১৩মার্চ,২০২১