দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুর-২ আসনে জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। রোববার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এরআগে শনিবার বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল বৈঠক এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিবৃতিতে জানানো হয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বলা হয়, যেহেতু নির্বাচন কমিশন সকল প্রকার নির্বাচন পরিচালনায় অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে এবং সরকার নির্লজ্জভাবে সকল নির্বাচনগুলিতে বেআইনি হস্তক্ষেপ করছে, সেহেতু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আপাতত এই সকল নির্বাচনগুলিতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৈঠকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং ৭১’এর ২৫ ও ২৬ মার্চ-এর ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কে সরকার প্রধানের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির নির্লজ্জ ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রয়াসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে পরবর্তী প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে মিথ্যাচার ও তার চরিত্র হননের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

‘‍‘স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দের অবদানকে অস্বীকার করছে। ইতোমধ্যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের প্রস্তাব করেছে। এসকল পদক্ষেপে নেয়া হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার জন্য। এই ধরণের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রকৃত ইতিহাস জনগণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।”

সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুণ্ণের বিষয়ে মতামত প্রদান করেছেন উল্লেখ করে বৈঠকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান ভোটাধিকার লুণ্ঠন, মানবাধিকার হরণ ও অগণতান্ত্রিক পরিবেশের প্রেক্ষিতে ‘বাংলাদেশের ইমেজ’ সম্পর্কে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনার জন্যে আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দকে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বৈঠক মনে করে, সংবিধানের ব্যাখ্যা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের নৈতিক দায়িত্ব এ বিষয়ে সঠিক অবস্থান গ্রহণ করা। বৈঠকে সম্প্রতি দুদকের একজন অভিযুক্তকে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্যেও বিদেশে পলায়ন করতে সহযোগিতা করায় হাইকোর্টের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া এবং দুদকের বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪মার্চ, ২০২১)