দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রাথমিকের উপবৃত্তি বিতরণে ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর নানা জটিলতার কারণে এখনও অনেক শিক্ষার্থী সার্ভারে এন্ট্রি দিতে পারেনি। এসব শিক্ষার্থীকে সুযোগ দিতে চতুর্থ দফায় আরও ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।

বাদ পড়া এসব শিক্ষার্থীরা আজ (সোমবার) সকাল থেকে ডাটা এন্ট্রি করতে পারছেন।

উপবৃত্তি প্রকল্প থেকে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ও (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কিস্তির সুবিধাভোগীর ডাটা এন্ট্রির জন্য নগদ পোর্টাল উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ১ম কিস্তির ডাটা এন্ট্রির পর ২য় কিস্তির ডাটা চালু হবে।

এর আগে ৪ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প থেকে এ শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি জন্য চতুর্থ দফা সময় বাড়িয়ে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশের সব বিভাগীয় শিক্ষা অফিস, জেলা অফিসে তা পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ম ও ২য় কিস্তির সুবিধাভোগীদের তথ্য উপবৃত্তি ‘নগদ’ পোর্টালে আপলোডের জন্য ১৫ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে নগদের পোর্টাল উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এ সময়সীমা কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না।

এতে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের ৪র্থ কিস্তির (এপ্রিল-জুন/২০২০) উপবৃত্তির অর্থ বিতরণের সময় ১ম ধাপে সুবিধাভোগীদের তথ্য ও ২য় ধাপে চাহিদাপত্র এন্ট্রি করা হয়েছিল। দুইটি পর্যায়ে কাজ করতে বেশি সময়ক্ষেপণ হয়েছে। এজন্য এখন হতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একবারেই চাহিদাসহ সুবিধাভোগীদের তথ্য এন্ট্রি করতে হবে।

এ বিষয়ে কোনো সমস্যা/অস্পষ্টতা থাকলে ডাটা এন্ট্রির নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রধান শিক্ষককে জেলা মনিটরিং কর্মকর্তা/নগদ-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কিংবা প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এর আগে সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি তৃতীয় দফা তথ্য দেওয়ার শেষ দিন ছিল। এরপরও যারা বাকি ছিল তাদেরও উপবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫মার্চ, ২০২১)