দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিভিল এভিয়েশন) ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পৃথক ডোবা এবং নালায় মশার লার্ভা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

আজ সোমবার (১৫ মার্চ) ডিএনসিসি মেয়র মশা নিধনে চলমান ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

পরিদর্শনকালে বিমানবন্দর রেলস্টেশনের পূর্ব পাশে রেল মন্ত্রণালয়ের একটি খাল পরিষ্কার করতে গিয়েও পারেননি ডিএনসিসির মশক নিধনকর্মীরা। এ বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে আতিক বলেন, এ জায়গাগুলো আমাদের না। সিভিল এভিয়েশনের, রেল মন্ত্রণালয়ের। সিভিল এভিয়েশনকে আমি বারবার বলেছি, তাদের চেয়ারম্যানকে বলেছি, এগুলো পরিষ্কার করার জন্য। তিনি বলেছেন, স্যার আমি পরিষ্কার করে দেব, কিন্তু করেননি। এ জায়গাগুলো লার্ভার খনি। আমরা এখন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মশার কোনো বাউন্ডারি দেয়াল নেই। আমরা বারবার বলার পরও তারা তাদের নিজেদের জায়গা পরিষ্কার রাখে না। এমনকি আমরা পরিষ্কার করতে যাব, সেই জায়গাও নেই। আমাদের লোক যেতে পারছে না। এখন মামলা হবে, তারা কোর্টে যাবে, তা হলে বুঝবে। সরকার সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করবে। এ ছাড়া আর উপায় নেই। আমরা সিভিল এভিয়েশনকে ভেহিকেল মাউন্টেড ফোগার মেশিনও দিয়েছি। সেটা দিয়েও তারা তাদের জায়গায় স্প্রে করতে পারে। আমাদের কাজের গাফিলতির দায়ভার আমরা নেব। কিন্তু তাদের গাফিলতির দায়ভার তো তাদের নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা মশা নিধনে পদ্ধতিগত পরিবর্তন এনেছি। সনাতন থেকে আধুনিক সব প্রয়োগ করছি। কিন্তু সবাই যদি যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে না আসে, তা হলে এ কাজ সফল হবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে যে মশার কোনো বাউন্ডারি দেয়াল নেই। একজনের গাফিলতিতে জন্মানো মশা পুরো শহরে ছড়িয়ে যাবে।

মেয়র আরও জানান, মশা নিধনে নিযুক্ত কর্মীদের বায়োমেট্রিক সিস্টেমে হাজিরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া কর্মীদের তদারকি করতে নতুন করে ২৫ জন সুপারভাইজার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

পরিদর্শনকালে সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫মার্চ, ২০২১)