বিসিএস পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বললো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আগামী শুক্রবার ৪১ তম বিসিএস পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। কিন্তু এরমধ্যেই করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরীক্ষা বন্ধের সুপারিশ করেছে। কারণ করোনা প্রতিরোধী টিকা নিলেও সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কয়েকদিন ধরে বাড়ছে। এজন্য সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধসহ যেকোনো পাবলিক পরীক্ষা যেমন বিসিএস, এসএসসি, এইচএসসিসহ অন্য পরীক্ষা বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১২ দফা সুপারিশরে বলা হয়েছে, এক বছরের ব্যবধানে গত ১০ মার্চ ফের করোনা শনাক্ত হাজারের ঘরে পৌঁছেছে।
১২ দফা প্রস্তাব হলো:
১. সম্ভব হলে কমপ্লিট লকডাউনে যেতে হবে, সম্ভব না হলে ইকোনমিক ব্যাল্যান্স রেখে যেকোনো জনসমাগম বন্ধ করতে হবে।
২. কাঁচা বাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিং মল, মসজিদ, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল ইত্যাদি অনুষ্ঠান সীমিত করতে হবে।
৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত রাখতে হবে।
৪. যেকোনো পাবলিক পরীক্ষা (বিসিএস, এসএসসি, এইচএসসি, মাদ্রাসা, দাখিলসহ অন্যান্য) বন্ধ রাখতে হবে।
৫. কোভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন জোরদার করা।
৬. যারা রোগীদের সংস্পর্শে আসবে তাদের কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখা।
৭. বিদেশ থেকে বা প্রবাসী যারা আসবেন তাদের ১৪ দিনের কঠোর কেয়ারেন্টিনে রাখা এবং এ ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর সহায়তা নেওয়া।
৮. আগামী ঈদের ছুটি কমিয়ে আনা।
৯. স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আইন প্রয়োজনে জোরদার করা।
১০. পোর্ট অব এন্ট্রিতে জনবল বাড়ানো, মনিটরিং জোরদার করা।
১১. সব ধরনের সভা ভার্চুয়াল করা।
১২. পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করা।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৭মার্চ, ২০২১)