৪১তম বিসিএস: পিএসসি'র ১১ নির্দেশনা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনা মহামারি সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যিবিধি মেনে আগামীকাল শুক্রবার (১৮ মার্চ) ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেবে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তারা জানিয়েছে, পরীক্ষার কেন্দ্রে যদি কোনো পরীক্ষার্থীর তাপমাত্রা বেশি থাকে তাহলে তাকে অন্য হলে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে।
পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন গতকাল বুধবার (১৭ মার্চ) গণমাধ্যমকে বলেন, সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। কেন্দ্রে যারা থাকবেন, তাদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনাও দিয়েছি। সব মিলে আমাদের খুব ভালো প্রস্তুতি আছে।
এবারই বিসিএসে রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন। পিএসসি সূত্র অনুযায়ী, এবার ৪ লাখ ৭৫ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষার অংশ নেবেন।
এদিকে সম্প্রতি ৪১তম বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষার কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনায় থাকা সংশ্লিষ্টদের জন্য ১১টি নির্দেশনা জারি করেছে পিএসসি। নির্দেশনায় বলা হয়-
১। প্রতিটি পরীক্ষার হলে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
২। পরীক্ষার হলের বাইরে পরীক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা বা স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করার জন্য নন-কন্ট্যাক্ট ইনফ্রারেট থার্মোমিটার থাকতে হবে।
৪। প্রতিটি পরীক্ষার হলে এবং কন্ট্রোল রুমে জীবাণুনাশক ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৫। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব এলাকা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৬। স্বাস্থ্যবিধি পালনের বার্তাসংবলিত পোস্টার ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।
৭। অপেক্ষমাণ জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।
৮। পরীক্ষার্থীদের কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনে গোল চিহ্ন দিয়ে দাঁড়ানোর স্থান নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।
৯। মাস্ক ছাড়া কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
১০। আসন ব্যবস্থায় দুজন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব থাকতে হবে।
১১। পরীক্ষার হলের বাইরে জনসমাবেশ পরিহার করতে হবে।
এছাড়া ৪১তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষার হলে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছে বর্ণিত নিষিদ্ধসামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এর বিধিভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশন কর্তৃক গৃহীতব্য সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরীক্ষার দিন (১৯ মার্চ) বই-পুস্তক, সব রকম ঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গয়না ও ব্যাগ না আনার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পরীক্ষার্থীকে পুনরায় বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৮মার্চ, ২০২১)