দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ১৭ মার্চ থেকে পণ্য বিক্রয়ে বিশেষ কার্যক্রম শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে আজ রোববার (২১ মার্চ) থেকে তেল বিক্রির পরিমাণ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

আজ থেকে দৈনিক ৪ লাখ লিটার তেল বিক্রি করবে টিসিবি। এর আগে গত বুধবার থেকে প্রতিদিনি ২ লাখ লিটার করে তেল বিক্রি করা হয়।

এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও রমজানকে সামনে রেখে আমরা এই বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যক্রম আরও জোরদার করছি। এখন থেকে দৈনিক ৪ লাখ লিটার ভোজ্যতেল বিক্রি করা হবে।’

তিনি জানান, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখন থেকে পুরো রমজান মাসজুড়ে টিসিবির বিপণন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

টিসিবি সূত্র জানায়, এখন ৪০০ ট্রাকের মাধ্যমে তেল, চিনি, মসুর ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করছে সরকারি এই বিপণন সংস্থা। বুধবার থেকে গত ৪ দিনে প্রত্যেক ট্রাকে ৫০০ লিটার তেল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আজ থেকে প্রতি ট্রাকে এক হাজার লিটার তেল বরাদ্দ দেয়া হবে। অন্যান্য পণ্য চিনি, মসুর ডাল ও পেঁয়াজের সরবারহও দ্বিগুণ করা হচ্ছে।

টিসিবি আরও জানায়, ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা দিনে ৫০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ৪ কেজি চিনি, ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ২ কেজি মসুর ডাল, ৯০ টাকা দরে ২ থেকে ৫ লিটার সয়াবিন তেল এবং ১৫ টাকা দরে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।

বাণিজ্য সচিব জানান, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী ১ এপ্রিল থেকে টিসিবির খোলা ট্রাকের সংখ্যা ১০০ বাড়ানো হবে। আগামী ৬ মে পর্যন্ত মোট ৫০০ খোলা ট্রাকে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম চলবে।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সম্প্রতি মিল গেইটে প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১১৩ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১১৭ টাকা বেঁধে দিয়েছে। ৫ লিটারের বোতল মিল গেইটে ৬২০ টাকা, ডিলার পর্যায়ে ৬৪০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৬৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে মিল গেইটে ১০৪ টাকা, ডিলার পর্যায়ে ১০৬ টাকা এবং খুচরায় ১০৯ টাকা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২১মার্চ, ২০২১)