কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সমাবেশস্থলে বোমা পুঁতে রাখার অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় আজ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ঘোষণা করা হবে। গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভুইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সমাবেশস্থলে বোমা পুঁতে রাখার অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় মঙ্গলবার বেলা ১২টায় ঘোষণা করা হবে। আমরা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এই রায়ে আমরা মামলার ১৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি।
এ মামলায় যেসব আসামিরা পলাতক রয়েছেন তারা হলেন, মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু ও শেখ মো. এনামুল হক।
আর কারাগারে যারা রয়েছেন- মো. মফিজুর রহমান অরফে মফিজ, মো. মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, মো. রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল, মো. তারেক, মো. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, মো. আনিসুল ইসলাম ও সারোয়ার হোসেন মিয়া। এছাড়া মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান জামিনে রয়েছে।
২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী একটি বোমা দেখতে পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের ওই বোমা উদ্ধার করে। পরদিন ২৩ জুলাই ৪০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, হত্যার ষড়যন্ত্র এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে তিনটি মামলা করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় রায় ঘোষণা করেন। তাতে ১০ জনের ফাঁসির দণ্ড এবং আরও ১৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) নেতা-কর্মী।
হত্যাচেষ্টা মামলার আপিলের রায়ও হয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি এবং ১৪ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে একজনকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০০৪ সালে ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে ৫০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৩মার্চ, ২০২১)