দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররম এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আহত অন্তত ৫৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে অসংখ্য টিয়ারসেল নিক্ষেপসহ বেশ কয়েকটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একাধিক সংবাদকর্মী আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেল পৌণে ৪ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।

এর আগে আজ শুক্রবার রাজধানীর পল্টনে বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজ শেষে ইসলামি দলগুলো বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বেধে যায়। যা এখনো চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

আন্দোলনকারীরা মোদীর সফরের বিরোধীতা করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ছেন। পুলিশও পাল্টা টিয়ার সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। আগে থেকেই মোদীর সফরের বিরোধীতা করছিলেন দেশের বিভিন্ন ইসলামিক দল এবং ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

এজন্য মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে পল্টন এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও পুলিশ সদস্যরা। এছাড়া মাঠে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) মতিঝিলে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ। এতে অংশ নেন ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানি। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় দুপুর ১২টার পর তাকে আটক করা হয়। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অভিভাবকদের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৬ মার্চ, ২০২১)