পুড়ে কয়লা ১৩ দেহ, চেনা যাচ্ছে না লাশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক, রাজশাহী: রাজশাহীর কাটাখালীতে বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাস ও হিউম্যান হলারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে যে ১৭ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৩ জন পুড়ে মারা গেছেন। পোড়া মরদেহগুলোর একটিও চেনা যাচ্ছে না। মারা যাওয়া এসব যাত্রীর মধ্যে ঘটনাস্থলেই মারা যান মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী। আর হাসপাতালে নেয়ার পরে মারা যান দগ্ধ দুইজনসহ আরও ছয়জন।
শুক্রবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে নগরীর কাটাখালী থানার সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীরা রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে রাজশাহীর শাহ মাখদুম (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের জন্য যাচ্ছিলেন। মাইক্রোটিতে চার পরিবারের ১৩ জন সদস্য ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় যানটির ১১ যাত্রী ঘটনাস্থলেই পুড়ে মারা যান। আর হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান যানটির দগ্ধ দুই যাত্রীসহ আরও ছয়জন।
মাইক্রোবাস থেকে উদ্ধার করা ১১ মরদেহের কাউকে চেনা যাচ্ছে না। তবে এর মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, চারজন নারী এবং দুজন শিশু বলে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে দুজন পুরুষ, দুজন নারী ও দুই শিশু রয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ জানান, দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাস কাটাখালী থানার সামনে আসার পর বিপরীত দিক থেকে আসা হানিফ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি হিউম্যান হলারকে ধাক্কা দেয়। এ সময় মাইক্রোবাসটির গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে মাইক্রোবাসটির ভেতরে চার পরিবারের ১৩ সদস্যের মধ্যে ১১ জন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। আহত হন মাইক্রোবাসের দগ্ধ দুই যাত্রীসহ আরও আটজন। আহতদের মধ্যে হানিফ পরিবহনের ছয়জন ছিলেন। আহতদের রামেক হাসপাতালে নেয়ার পর ছয়জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আগুনে মাইক্রোবাস ও হিউম্যান হলারটিও পুড়ে গেছে। রামেক হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজন চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাৎক্ষণিকভাবে আহত-নিহতদের নাম ঠিকানা জানাতে পারেনি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এএসআই রুহুল আমীন বলেন, দুর্ঘটনার পর আটজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে দুই নারী ও দুই শিশুসহ ছয়জন মারা গেছেন। বাকি দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৬ মার্চ, ২০২১)