দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীতে মোদিবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। এতে অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চার হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায় শুক্রবার রাতে পল্টন থানায় এ মামলা করা হয়। তবে এ পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলায় সরকারি কাজে বাধাদান, মোটরসাইকেল পোড়ানো ও পুলিশকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলা নম্বর-৫৭।

শুক্রবার মোদিবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় সাধারণ মুসল্লি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। জুমার নামাজের মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের একাংশ মোদিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে।

স্লোগান দেয়ার খানিক পরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মসজিদের উত্তর পাশের ফটকে মিছিলকারীদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালান। প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে তারা মিছিলকারীদের মারধর করেন। এতে বিক্ষোভকারীরা পিছু হটে মসজিদের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এর খানিক পরই বিক্ষোভকারীরা আবার সংগঠিত হয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ওপর পাল্টা হামলা চালান। এ সময় প্রায় ১০ মিনিট ধরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ মসজিদের দিকে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ফাঁকা গুলিও ছোড়া হয়।

শুক্রবারের ওই সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। আহতদের অনেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। একই ইস্যুতে এদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। এরমধ্যে হাটহাজারীতে হেফাজতের চার কর্মী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন এলাকায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের সময় এক তরুণ নিহত হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৭ মার্চ, ২০২১)