দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন হতে যাচ্ছে দেশ। শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের লকডাউনের ব্যাপারে এমন ইঙ্গিত দেয়ার পরই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানগুলোতে ভিড় করতে থাকে মানুষ। লকডাউন হলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় দোকানে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কিনে বাড়িতে ফিরছেন অনেকে।

গত বছরের মার্চে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পরও বাংলাদেশ লডকাউনের পথে হাঁটেনি। তবে ২৬ মার্চ থেকে ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত ধাপে ধাপে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সংক্রমণের ধাক্কা কমিয়ে আসতে থাকলে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসে।

মার্চ মাসের শেষ দিকে করোনার সংক্রমণ আবারও বেড়ে যাওয়ায় ভাইরাসটি রোধে সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়। এর মধ্যে আজ সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের লকডাউনের বিষয়টি জানান। মন্ত্রী জানান আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানাবে বলেও জানান তিনি।

লকডাউনের ঘোষণার পর থেকে রাজধানীর সব বাজারে ভিড় করতে থাকেন সাধারণ মানুষ। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, শ্যামলীসহ আশাপাশের বাজারে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পাইকারি আলু, পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মুরাদ হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, লকডাউনের ঘোষণার পর থেকে আমরা দম ফেলার সুযোগ পাচ্ছি না। দোকানে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড়। কেউ এক, দুই কেজি পণ্য নিচ্ছে না, সবাই পাঁচ, দশ কেজি করে পণ্য নিচ্ছে। কেউ কেউ আবার বেশিও নিচ্ছেন।

শ্যামলীর ক্রেতা মেহেদি হাসান রাব্বি বলেন, আসলে গত কয়েকদিন ধরে যেহারে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে তাতে সবাই লকডাউনের অনুমান করেছিল। এখন দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় একসঙ্গে বাজার করতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ফার্মেসি ও বিভিন্ন দোকানে বেড়েছে হ্যান্ডওয়াশ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদাও।

শ্যামলী কাজী আফিস সংলগ্ন মুদি দোকানদার আশরাফুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যেই লাইফবয়, স্যাভলন এবং ডেটল হ্যান্ডওয়াশের রিফিল প্যাক শেষ হয়ে গেছে। ক্রেতা আসছেন কিন্তু দোকানে মজুত না থাকায় দিতে পারছি না।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৩ এপ্রিল, ২০২১)