দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সদ্য প্রয়াত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হককে ঢাকার কেরানীগঞ্জের মনোহারিয়ায় দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। সেখানে এই শিল্পীদের গ্রামের বাড়ি। বর্তমানে মিতা হকের মৃতদেহ রয়েছে ছায়ানটে। সেখানে শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেরানীগঞ্জে।

রবিবার ভোর ৬টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান মিতা হক। তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানে তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছিল। এই অবস্থার মধ্যেই চিরঘুমে চলে যান জনপ্রিয় এই রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী।

মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালে। তিনি বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে। ২০১৬ সালে পান শিল্পকলা পদক। তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন।

মিতা হক সুরতীর্থ নামে একটি সংগীত প্রশিক্ষণ দল গঠন করেন। জীবদ্দশায় তিনি সেখানে পরিচালক ও প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হিসেবে তিনি নিজের স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি গান শিখেছিলেন তবলাবাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে।

১৯৯০ সালে বিউটি কর্নার থেকে প্রকাশিত হয় মিতা হকের প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’। ক্যারিয়ারে তিনি প্রায় ২০০ রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১ এপ্রিল, ২০২১)