দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: পারিবারিক দ্বন্দ্ব মিটিয়ে সিংহাসনের সাবেক উত্তরসূরি ও সৎভাই প্রিন্স হামজা বিন হুসেইনকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে আসলেন জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ। স্বাধীনতার শতবর্ষপূর্তিতে রবিবার এক অনুষ্ঠানে তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে। খবর রয়টার্সের

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেখা গেছে, বাদশাহ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অজ্ঞাত সেনাদের স্মৃতিসৌধ ও রাজপরিবারের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

সোমবার বাদশাহ আবদুল্লাহর প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে নেন রাজপুত্র হামজা। তার বিরুদ্ধে জর্ডানের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা হুমকিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। যদিও হামজা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন।

বুধবার এক বিবৃতিতে বাদশাহ বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহের ইতি ঘটেছে। হামজা আমার তত্ত্বাবধানে তার বাড়িতেই আছেন। এই ষড়যন্ত্র সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণাদায়ক ছিল। কারণ এটা রাজপরিবারের ভেতর ও বাইরে থেকে হয়েছে।

গত সপ্তাহে হামজাকে হুশিয়ারি করে দিয়েছিল সেনাবাহিনী। সরকারের অভিযোগ, জর্ডানকে অস্থিতিশীল করতে বিদেশিদের চেষ্টায় হামজার যোগসাজশ ছিল।

সিংহাসনের উত্তরসূরি হামজার হওয়ার কথা থাকলেও ২০০৪ সালে তাকে বাদ দিয়ে নিজের ছেলেকে নিয়োগ দেন বাদশাহ আবদুল্লাহ।

ইসরায়েলের সাথে ১৯৯৪ সালে স্বাক্ষরিত একটি শান্তিচুক্তির প্রচণ্ড সমালোচনা হয়েছিল জর্দানে, কিন্তু এর ফলে কিছুটা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা তৈরি হয়।

জর্দানে প্রাকৃতিক সম্পদ খুব বেশি নেই। এছাড়াও ইরাক ও সিরিয়া থেকে যাওয়া প্রচুর সংখ্যক শরণার্থী সামাল দিতে গিয়েও দেশটিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে জর্দানের পর্যটন শিল্পও আপাতত প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে যার প্রভাব পড়েছে দেশটির দুর্বল অর্থনীতির ওপর। সরকারের নানা অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভও বেড়েছে।

ওই অঞ্চলের সরকারগুলো বেশ ভাল করেই জানে যে জর্দানে রাজতন্ত্রের পতন ঘটলে তার বিপদজনক প্রভাব পড়বে আশেপাশের দেশগুলোতেও।

এর ফলে প্রতিবেশী দেশগুলো খুব দ্রুতই বাদশাহ আব্দুল্লাহর প্রতি সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১২ এপ্রিল, ২০২১)