আজ বিজিএমইএর দায়িত্ব নেবেন ফারুক হাসান
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশের তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ফারুক হাসান।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে তিনিসহ নতুন কমিটি দায়িত্বগ্রহণ করবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএর নতুন সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, বোর্ড আমাদেরকে বিজিএমইএর নতুন পর্ষদ হিসেবে নির্বাচিত করেছে। মঙ্গলবার দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠানটি হবে।
গত রবিবার ২০২২-২০২৩ মেয়াদের জন্য নির্বাচিত ৩৫ পরিচালকের মধ্য থেকে সভাপতি ও সাতজন সহ-সভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য আটজন মনোনয়নপত্র জমা দেন। অন্য কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ১২ এপ্রিল, সোমবার বোর্ড তাদের নামই ঘোষণা করে।
গত ৪ এপ্রিলের বিজিএমইএর দ্বিবার্ষিকী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫ পরিচালক পদের মধ্যে ২৪টিতে বিজয়ী হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে ড. রুবানা হকের প্যানেল থেকে জয়ী হয়েছিলেন ১১ জন।
এদিকে সোমবার ‘কোভিড অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ : কীভাবে সামলাব?’ শীর্ষক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ওয়েবিনার সংলাপে এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমই সভাপতি ও জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক হাসান বলেন, সব গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ও ঈদের বোনাস দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।
শ্রমিকদের রোজার ঈদের বোনাস ও বেতন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক হাসান বলেন, গত লকডাউনে এপ্রিল এবং মে মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস দেওয়া হয়েছিল। আমরা আশা করি এবং প্রস্তুতিও থাকবে সব কারখানার শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়ার। তবে কারখানা চালু রেখে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়া অব্যাহত রাখতে চাই। এক্ষেত্রে সরকারেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।
করোনা মোকাবেলা কী ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনার প্রথম ঢেউ শেষ হতে না হতেই দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছে। বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো শতভাগ রপ্তানিমুখী পণ্য উৎপাদনে নিয়োজিত। করোনার কারণে রপ্তানি কমেছে। ফলে আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এই মুহূর্তে করোনা মোকাবিলা করাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।
করোনা মোকাবিলায় বিজিএমইএ বিশেষ কী পদক্ষেপ নেবে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলা ও শিল্প পুনরুদ্ধারে প্রণোদনার অর্থ এবং ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ১৮ মাস থেকে বৃদ্ধি ও ঋণের কিস্তির আকার ছোট করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হবে। এছাড়াও স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তার প্রস্তাব জানানো হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৩ এপ্রিল, ২০২১)