দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ভিন্ন আবহে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে রোজা। গত বছরও করোনার কারণে নানা বিধি-নিষেধ ছিল রমজানে। সেই ধারাবাহিকতা এবারও বজায় রয়েছে। তবে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল রয়েছে।

রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি। মুসলিম বিশ্বের অন্যতম পবিত্র দুই মসজিদে (মসজিদে হারামাইন) তারাবির নামাজ ২০ রাকাতের বদলে অনুষ্ঠিত হয়েছে দশ রাকাত। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হয়েছে তারাবির নামাজ।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইন্দোনেশিয়ার মসজিদগুলোতে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে পুরো রমজান জুড়েই। ইফতার বা সেহরির কেনাকাটায় করা যাবে না অতিরিক্ত সমাগম।

ফিলিস্তিনেও পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়েছে। সেখানে শুধু করোনাই নয় দখলদার ইহুদিদেরও মোকাবিলা করতে হয় মুসলিমদের। তাদের আশা, দখলদার ইহুদিদের আগ্রাসন দূর হবে।

গরিবদের যাতে খাবারের অভাবে রোজা রাখতে সমস্যা না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখছে কয়েকটি দেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে গরিবদের ঘরে ইফতার পৌঁছে দেয়ার অঙ্গিকার করেছে সরকার।

কয়েকটি দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগে জারি করা কারফিউ বা সান্ধ্য আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ওমানে রাত নয়টা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত বাইরে বেরোনো নিষিদ্ধ। মরক্কোয় নিষেধাজ্ঞার সময় বাড়িয়ে রাত আটটা থেকে ভোর ছয়টা করা হয়েছে। ইরাকে কর্মদিবসে এ নিষেধাজ্ঞা নয়টা থেকে পাঁচটা আর সপ্তাহান্তে সারা দিন। তুরস্ক সান্ধ্য আইনকে শুধু সপ্তাহান্তেই সীমাবদ্ধ রেখেছে।

ইরানে রমজান শুরুর আগে থেকেই মসজিদ থেকে কোরান তেলাওয়াত এবং সীমিত পরিসরের নামাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচার করা হচ্ছে। সে দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনির বার্ষিক কোরান তেলাওয়াতও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। মিশরের ধর্ম মন্ত্রণালয়ও সে দেশে নামাজ লাইভস্ট্রিমিংয়ের জন্য একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছে।

ইউরোপের দেশগুলোতেও রমজান পালিত হচ্ছে। বসনিয়া, কসোভোর মুসলিমরা মহামারির মধ্যেই সীমিতভাবে আয়োজন করছেন ইবাদত-বন্দেগি। পাকিস্তান ও ভারতের কিছু অংশেও মঙ্গলবার রোজা শুরু হয়েছে।

তারাবি নামাজে করোনা মহামারি থেকে পরিত্রাণ চেয়ে সৃষ্টিকর্তার রহমত চেয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৩ এপ্রিল, ২০২১)