ফেনীর সেই এসআই ক্লোজড
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রিকশা থেকে যুবককে শার্টের কলার ধরে নামানোর পর পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে একাধিকবার ধস্তাধস্তির ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) যশোমন্ত মজুমদারকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান জানান, ওই যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ। কিন্তু তার সঙ্গে দায়িত্বশীল আচরণ না করায় এসআই যশোমন্ত মজুমদারকে ফেনী মডেল থানা থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ঘটনার সাথে জড়িত অপর দুই পুলিশ সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
গত রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ফেনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে এক যুবকের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
জানা যায়, মাস্ক না পরায় শহরের ট্রাঙ্ক রোডে ফেনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে একটি রিকশা থামান মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) যশোমন্ত মজুমদার ও পুলিশ সদস্যরা। এ সময় রিকশায় বসে থাকা মাস্কবিহীন ওই যুবককে নামতে বলা হয়। যুবক না নেমে পুলিশের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। তখন পুলিশ মামলার কথা বলেন। সঙ্গে সঙ্গে যুবক বলেন, এদেশে পুলিশের অনেক ক্ষমতা, তাই না।
তর্কের এক পর্যায়ে তার শার্টের কলার ধরে রিকশা থেকে নিচে নামায় পুলিশ। তখন শার্টের কলার ধরা পুলিশ সদস্যকে যুবক বলেন, তুই অন্য রিকশা ছাড়ছিস; আমাকে কেন আটকাইছিস। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় এক পুলিশ সদস্য তাকে পাগল বললে, ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পুলিশকে যুবক বলেন, তুই আমাকে পাগল বললি কেন? আমি পাগল, না? তুই পাগলের সামনে দাঁড়াইলি কেন?
এ সময় পুলিশের সঙ্গে যুবকের হাতাহাতি লেগে যায়। এক পর্যায়ে একাধিক পুলিশ সদস্য যুবককে জাপটে ধরেন এবং হ্যান্ডকাফ পরানোর চেষ্টা করেন। হ্যান্ডকাপ পরানো অবস্থায় যুবক বলেন, মসজিদে কোরআন পড়তে যাচ্ছিলাম, বলছি আমাকে ছেড়ে দেন। সেই সঙ্গে হ্যান্ডকাপ পরতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তাকে মাটিতে ফেলে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২০ এপ্রিল, ২০২১)