দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নব্বইয়ের দশকে মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসায় এজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন মামুনুল হক। সেসময় মামুনুল হককে ওই মাদ্রাসা থেকে বহিস্কার করা হয়েছিলো এবং তখন কেরানীগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় গিয়ে চাকরি নেন মামুনুল হক। সেসময় ওই মামলা ধামাচাপা দেয়া হলেও নতুন করে ওই মামলা চালু হচ্ছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলছে, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের মামলাটি নতুন করে চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ থেক তার অভিভাবকরা নতুন করে অভিযোগ দাখিল করছেন। যদিও মামুনুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক স্ত্রী এবং বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগের পর এটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আসলো।

ঘটনার বিরবণীতে জানা যায়, মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসায় দায়িত্ব পালন করতেন মামুনুল হক। সেময় একজন শিক্ষার্থীকে ডেকে নেন এবং তাকে কুপ্রস্তাব দেন সেই কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীকে জোর করে বলাৎকারের চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই শিক্ষার্থীর চিৎকার চেচামেচিতে অন্যান্য শিক্ষক এবং ছাত্ররা এগিয়ে এলে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আসে। এটি নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষকদের মধ্যে বিচার হয় এবং মামুনুল হককে ওই মাদ্রাসা থেক বহিস্কার করা হয়। পরবর্তীতে মামুনুল হক ওই অভিযোগ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন। কিন্তু এখন মামুনুল হক গ্রেফতার হয়েছে তখন এই অভিযোগ ‍নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা সামনে এসেছেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৪ এপ্রিল, ২০২১)