বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: দুইশর বেশি রান তাড়া করে মাত্র একটি ম্যাচে জয় আছে বাংলাদেশের। সেখানে শ্রীলঙ্কার ছুড়ে দেয়া ৪৩৭ রানের লক্ষ্যটা তো ধরাছোঁয়ারই বাইরে। ছয় সেশন বা ১৫০ ওভার ব্যাট করে ম্যাচ ড্র করাটাও চ্যালেঞ্জিং বটে। তাই বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ম্যাচটা পঞ্চম দিনে নিয়ে গিয়ে অন্তত লড়াইটা করা এবং ব্যবধান কমানো।
তবে তার ছিটেফোঁটাও করতে পারেনি বাংলাদেশ। লঙ্কান স্পিন ভেল্কিতে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে সই ৫০ রান যোগ করেই। যার শেষ তিন উইকেট গেছে শূন্য রানেই। অর্থাৎ ২২৭ রানে অষ্টম উইকেট পড়ার পর নবম ও দশম উইকেট গেছে একই রানে। মাত্র ৯ বলের ব্যবধানে শেষ ৩ উইকেট হারায় সফরকারী দল।
যাতে হেরেছে ২০৯ রানের বিশাল ব্যবধানেই। এদিন তাও মিরাজের কল্যাণে ২৩টি ওভার অপেক্ষা করতে হয়েছে স্বাগতিকদের। ৮৬ বল খেলের চারটি চারের সাহায্যে ৩৯ রান করেন তিনি।
লঙ্কানদের এ জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন প্রভীন জয়াবিক্রমা। প্রথম ইনিংসের মতো এ ইনিংসেও ৫ উইকেট দখল করে অভিষেক ম্যাচেই ১০ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড বুকে ১৬তম বোলার হিসেবে নাম লেখালেন লঙ্কান বাঁহাতি স্পিনার। ম্যাচ সেরাও হন এই তরুণ। সবমিলিয়ে এই টেস্টে ১৭৮ রান দিয়ে ১১টি উইকেট নেন জয়াবিক্রমা। প্রথম শ্রীলঙ্কান হিসেবে এমন বিরল কীর্তি গড়লেন তিনি।
এই ইনিংসে ৮৬ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নেন জয়াবিক্রমা। এ ছাড়া ১০৩ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন আরেক স্পিনার রমেশ মেন্ডিস। অপর উইকেটটি পান ধনাঞ্জয়া।
এর আগে আলোর স্বল্পতায় চতুর্থ দিনের খেলা ১২ ওভার বাকি থাকতেই বন্ধ হয়ে যাওয়াতে ম্যাচের ভাগ্য পঞ্চম দিনে পৌঁছালেও পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছে বাংলাদেশকে। আজ পঞ্চম দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৬০ রান এবং শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল ৫ উইকেট। বড়সড় কোনো জুটি না গড়লে বাংলাদেশের পরাজয় ছিল কেবলই সময়ের ব্যাপার। হয়েছেও তাই।
কেননা, সকালে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ রান যোগ করেই সাজঘরে ফিরেছেন লিটন দাস (১৭)। যাতে ১৮৩ রানেই ষষ্ঠ উইকেট খুইয়েছে বাংলাদেশ। পরে মিরাজকে সঙ্গ দিয়ে দলের স্কোরে ২৩ রান যোগ করে ফিরেছেন ৩০ বল খেলে ২ রান করা তাইজুল। এর পর ৩৯ রানে আউট হন লড়াকু মিরাজ। ৮৬টি বল খেলেন তিনি। যাতে ত্বরান্বিত হয় পরাজয়।
এর আগে ৪৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ চতুর্থ দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ১৭৭ রান। লিটন দাস ১৪ রান করে ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
তবে বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। আগের তিন ইনিংসের মতো আজও শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন তামিম ইকবাল। তবে আজ আর ইনিংস বড় করতে পারেননি এই ওপেনার। রমেশ মেন্ডিসের বলে ২৬ বলে ২৪ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তামিম। এর পর ভালো শুরু করেও সেটা ধরে রাখতে পারেননি আরেক ওপেনার সাইফ হাসান।
তামিমের মতোই আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে ৪৬ বলে ৩৪ রান করে জয়াবিক্রমার প্রথম শিকারে পরিণত হন সাইফ হাসান। দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকও হাটেন একই পথে। ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান এবং মুমিনুল হক ফিরে যান ৩২ রান করে।
১৩৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস পঞ্চম উইকেটে ৩৭ রান যোগ করার পর আগের ব্যাটসম্যানদের মতই উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান মুশফিকুর রহিম। ৪০ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৩ মে, ২০২১)