দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের আগের চেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটল ফল প্রকাশের পর।

ফল ঘোষণার দিন রবিবার দুপুর থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত রাজনৈতিক সংঘাতে নিহত হয়েছেন ১২ জন।

নিহতদের মধ্যে বিজেপির পাঁচ, তৃণমূলের পাঁচ ও আইএসএফের একজন রয়েছেন বলে জানা গেছে। দ্বাদশ ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

বহু জায়গায় একে অন্যের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, বোমাবাজি, লুটপাট, আগুন লাগানোর অভিযোগ করেছে বিজেপি ও তৃণমূল। এ পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর কাছে বারবার শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ভোটের ফলপরবর্তী সহিংসতার অভিযোগে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য বিজেপি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা কেন নির্বাচনোত্তর সহিংসতার শিকার হচ্ছেন, সে ব্যাপারে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি নীরজনয়ন পাণ্ডে এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। পরে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন স্বরাষ্ট্র সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপিও।

সোমবার সন্ধ্যায় মমতা তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিষয়টি তোলেন রাজ্যপাল। মমতা তাকে বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে। তবু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি যা করার করছেন এবং করবেন।

কলকাতায় সংবাদ সম্মেলনে তৃণমূল নেত্রী সোমবার বলেন, সবার কাছে আবেদন করব— বাংলা শান্তিপ্রিয় জায়গা, সংস্কৃতিপ্রিয় জায়গা, সম্প্রীতিপ্রিয় জায়গা। নির্বাচনে হারজিত হয়েছে। আবহাওয়া গরম হয়েছে কখনও, কখনও ঠাণ্ডা হয়েছে। বিজেপি অনেক অত্যাচার করেছে এটি আমরা জানি।

কেন্দ্রীয় বাহিনী অনেক অত্যাচার করেছে জানি। তা সত্ত্বেও সবাইকে বলব— শান্ত থাকি, কেউ যেন কোনো হিংসাত্মক ঘটনায় না জড়াই। এখন মানুষের সবচেয়ে বড় কাজ, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করা।
খবর আনন্দবাজার পত্রিকা

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৪ মে, ২০২১)