দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: চলমান লকডাউনের মধ্যে আন্তজেলা গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। তবে ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে প্রতিবারের মতো ঘরমুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে ঘাটগুলোতে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং শুক্রবার (৭ মে) পবিত্র জুমাতুল বিদার ফলে সকাল থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যক্তিগত ও ভাড়া যানবাহনে করে গন্তব্যে পৌঁছাতে ঘাট এলাকায় জড়ো হচ্ছেন যাত্রীরা।

প্রতিটি ঘাটে যত দূর চোখ যায়, পণ্যবাহী গাড়ি, যাত্রীবাহী প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া ফেরিঘাটে শুক্রবার সকালে দেখা যায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি। অধিকাংশ যাত্রীই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।

গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় যাত্রীদের অত্যধিক চাপ পড়েছে। ফেরিতে বিঘ্নিত হচ্ছে গাড়ি পারাপার। এতে ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী সাত শতাধিক যানবাহন। এসব যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি সচল রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে জেলার মধ্যে গণপরিবহন চালু হওয়ার পর থেকেই ঘাটে বাড়িমুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তার উপর শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় চাপ বেশি। দুপুরের মধ্যেই ঘাটের চাপ কমে যাবে বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে তিনি বলেন, সবসময়ই যাত্রীদের মাস্ক পরতে ও সামাজিক দূরত্ব মানার জন্য বারবার সর্তক করি। কিন্তু কেউ আমাদের কথা শুনে না।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৬টি ফেরির মধ্যে তিনটি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তিন শতাধিক যানবাহন পাটুরিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় আছে। প্রতিটি ফেরি যাত্রী বোঝাই। ফেরি থেকে নেমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরে ১২ এপ্রিল ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৭ মে, ২০২১)