শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ‘অনুঘটকের ভূমিকা’ পালন করতে চায় এলআর গ্লোবাল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ‘২০১৫ সাল থেকে এলআর গ্লোবাল যেসব বাধার সম্মুখিন হয়ে আসছিল, ২০২১ সালের শুরুতে এসে তার সমাধান হয়েছে। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলআর গ্লোবাল পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য অবদান রেখে চলেছে। এখন আমাদের অংশগ্রহণ থাকবে আরও বেশি, কেননা বিএসইসির অধিকতর স্বচ্ছ ভূমিকা এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কল্যাণে একটি অনুকূল পরিবেশ এখন বাজারে সৃষ্টি হয়েছে।’
শনিবার ঢাকার প্রগতি সরণিতে অ্যামচেম কার্যালয়ের আবদুল মোমেন হল রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুঁজিবাজার পরিস্থিতি এবং এলআর গ্লোবালের সাফল্যের বিবরণ তুলে ধরার সময় এসব কথা বলেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ তহবিল ব্যবস্থাপকএলআরগ্লোবালেরপ্রধাননির্বাহীকর্মকর্তারিয়াজইসলাম।
সম্মেলনে লিখিত বিবৃতিতে এলআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘গত কয়েক বছর আমাদের খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, কিন্তু ঐকান্তিক চেষ্টা, স্বচ্ছ বিনিয়োগ প্রক্রিয়া এবং সুচারু কর্মসম্পাদনের মধ্য দিয়ে আমরা তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। অংশীজনরা যে আস্থা এলআর গ্লোবালের ওপর রেখেছেন, সেজন্য সবাইকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। সচ্ছতা বজায় রেখে সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে অবিচল থেকে সেরা কাজ করে যাওয়ার যে প্রতিশ্রুতি আমাদের রয়েছে, তা আমরা পূরণ করতে চাই’।
বিবৃতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে বিনিয়োগের যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে এলআর গ্লোবাল অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে চায়। আর সেজন্য কিছু বিষয়ে এলআর গ্লোবাল মনোযোগ দিচ্ছে’।
রিয়াজ ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের জন্য এই সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) ‘শতভাগ সহযোগিতা’ দিয়ে যেতে চায় উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয় , ‘যাতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার নেয়া সংস্কারমূলক কাজগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায় এবং বাজারে তা ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে’।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের পুরো সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এবং সকলের সম্মিলিত মঙ্গলের লক্ষ্যে এই যাত্রায় যারাই আমাদের সঙ্গী হতে চায়- আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পৃষ্ঠপোষক, সাংবাদিক এবং বিনিয়োগকারী- যে কেউ, সবার জন্য আমাদের দুয়ার উন্মুক্ত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়,‘ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ উৎসাহিত করতে আবার তারা নতুন করে কাজ শুরু করছে, যে কাজ ২০১৫ সালে ‘থমকে’ গিয়েছিল। ওই সময়ে বিএসইসি’র দু’জন কমিশনার আমাদের জীবন হেল করে দিয়েছিল। পাঁচ বছর আমরা ব্যাকফুটে ছিলাম। তবে এখন আমরা সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছি। আগের বিএসইসিতে লিডারশিপের অভাব ছিল। বর্তমান কমিশনের ভূমিকায় আমরা খুবই আশাবাদী’
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে তারা ‘অনুঘটকের ভূমিকা’ পালন করতে চায় উল্লেখ করে এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী বলেন ‘‘আর সেই লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে পূর্ণ সহযোগিতা করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পাশাপাশি বাজার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই’ ।
দ্য রিপোর্ট/এএস/৮ মে ২০২১