রাতের ফেরিতেও মানুষের ঢল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি আর সরকারি নিষেধাজ্ঞা কোনটাই তোয়াক্কা করছে না ঘরমুখো মানুষ। মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আজও ঢল নেমেছে মানুষের। জরুরি সেবার ফেরি আসলেই গাদাগাদি করে উঠছেন যাত্রীরা।
স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য শিমুলিয়াঘাটে এক ধরনের যুদ্ধ চলছে। তাইতো করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি উপেক্ষা করেই ঘাটে নেমেছে মানুষের ঢল।
জনস্রোত ঠেকাতে শিমুলিয়া ঘাটে দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি সদস্যরা। বসানো হয়ছে চেকপোস্ট। তবুও থেমে নেই মানুষের ঢল। দিন পেরিয়ে রাতেও, ফেরির অপেক্ষায়, হাজারো মানুষ। জরুরি সেবার যানবাহন পারাপারের ফেরিতে চোখের পলকেই উঠছে তারা। সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করার কারণ হিসেবে নানা যুক্তি দেখাচ্ছেন ঘরমুখো এসব মানুষ। ]
রোববার রাত ৮টা থেকে পর পর ৩টি ফেরি ছেড়ে যায় শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে। দিনভর ঘাটে অপেক্ষারত যাত্রীরা এবং বিকালে ঘাটে আসা যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন তাতে। শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে এসে আনলোড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠে পড়েন। এ সময় জরুরি সেবার গাড়ি, রোগীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ফেরিতে তুলতে হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে।
গণপরিবহন, লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার থেকে মানুষের ঢল নামে শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার ফেরিঘাটে। পরে
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল দিনের বেলায় বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় বিআইডব্লিউটিসি।
হঠাৎ করে ফেরি বন্ধ করে দেয়ায় শনিবার সকাল থেকে উভয় ঘাটে অসংখ্য যাত্রীর পাশাপাশি জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহনসহ মুমূর্ষু রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স আটকে পড়ে।
মানবিক কারণে রোববার দুপুরের পরে সীমিত আকারে ২/৩টি ফেরি চলাচল করে। এ সময় যাত্রী চাপ কিছুটা কমে আসে। তখন কিছু পণ্যবাহী ট্রাক, জরুরি রোগীবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পার করা হয়। কিন্তু বিকালে যাত্রীর চাপ আবার বেড়ে যায়।
পরে সোমবার ঈদের ঘুরমুখো যাত্রীদের মানবিকতার কথা বিবেচনা করে সব রুটে ফেরি চলাচলের অনুমতি দেয় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১ মে, ২০২১)