দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশে যত দিন পর্যন্ত অপ্রদর্শিত আয় থাকবে, তত দিন পর্যন্ত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে।

বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী। অনলাইনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি সভাপতিত্ব করেন।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ঢালাওভাবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত থাকছে আগামী বাজেটেও। এখন শেয়ার কিনে যেমন কালোটাকা সাদা করা যাবে, তেমনি অতীতে অর্থাৎ কয়েক বছর আগে কালোটাকায় শেয়ার কেনা থাকলেও তা সাদা করা যাবে।

সব মিলিয়ে অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ১০ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে। এই সুযোগ চলতি অর্থবছরে ৩০ জুন শেষ হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের কিছু পদ্ধতিগত কারণে অনেক সময় টাকা অপ্রদর্শিত থাকে। এসব অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার সুযোগ দিলে অর্থনীতির মূলধারায় আনা হবে।

বুঝতে হবে কী কী কারণে অর্থ অপ্রদর্শিত হয় । জমি রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প ফি অনেক বেশি। আবার মৌজা মূল্য অনেক কম। মৌজা মূল্য যদি বাজার দরের সমান হত, তাহলে কোনো অপ্রদর্শিত টাকা হত না। এই যে পদ্ধতি এর কারণে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের কাছে অপ্রদর্শিত টাকা থাকে। সেজন্য তারা বিপদে পড়ে। এজন্য সরকার ক্রমান্বয়ে আয়কর হার, জমির নিবন্ধন ফি, স্ট্যাম্প ডিউটি কমিয়ে দিচ্ছে। যাতে সবাই প্রকৃত মূল্য প্রকাশ করতে পারে। আগে আয়কর হার অনেক বেশি ছিলো, যে কারণে অনেকে কর দিতো না। এজন্য সরকার আয়কর পর্যায়ক্রমে কমিয়ে নিয়ে আসছে। বাংলাদেশের মতো বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে তুলনা করলে যাতে একইরকম চিত্র পাওয়া যায়। সেরকম ব্যবস্থা সরকার নিচ্ছে। আশা করা যায় এক সময় অপ্রর্দশিত টাকা অর্থনীতির সিস্টেম থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে যোগ করেন মুস্তফা কামাল।

আগামী বাজেটে অপ্রদর্শিত টাকা প্রদর্শনের সুযোগ চলতি অর্থবছরের মতোই থাকবে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজাটে অপ্রদর্শিত আয় কিভাবে সাদা করা যাবে সেটা এখনই বলা যাবে না। এজন্য বাজেট পেশের দিন আগামী ৩ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৯ মে, ২০২১)