দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল মধ্যে সংঘাতে হতাহতের ঘটনা ঘটেই চলছে। আজ বৃহস্পতিবারও গাজায় হামাসের নানা স্থাপনার ওপর অন্তত একশ’ বার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে রকেট হামলা করে এর জবাব দিয়েছে। এ খবর বিবিসি বাংলা’র।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) প্রথম প্রহরে গাজায় সিরিজ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে খান ইউনিস শহরে চার জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েল বলছে, তারা হামাসের রকেট উৎক্ষেপণ সাইটে হামলা করেছে।

এদিকে ইসরায়েলি শহর বীরসেবা এবং গাজা সীমান্তবর্তী এলাকায় রকেট সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর আল আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই এলাকাটি মুসলিম ও ইহুদিদের কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত।

সেখান থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্ক করে দিয়ে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস রকেট ছুঁড়তে শুরু করে। এর জবাবে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

এ সহিংসতায় গাজায় প্রায় একশ’ নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২২৭ জন নিহত হয়েছে। হামাস অবশ্য তার যোদ্ধাদের ক্ষয়ক্ষতির কোন তথ্য প্রকাশ করেনি। আর ইসরায়েলে দুটি শিশুসহ বার জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের দাবি গাজা থেকে তার ভূখণ্ড লক্ষ্য করে অন্তত চার হাজার রকেট ছুঁড়েছে হামাস।

এদিকে এই সংঘাতের মধ্যেই হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেছেন যে, ইসরায়েল ও গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী দু'একদিনের মধ্যেই যুদ্ধবিরতিতে একমত হবে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বুধবার বলেছেন, ইসরায়েলিদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

হামাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুক লেবাননের আল মায়াদিন টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘আমি মনে করি যুদ্ধবিরতির জন্য বর্তমানে যে চেষ্টা হচ্ছে তা সফল হবে। আশা করছি দু’একদিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং যুদ্ধবিরতি হবে উভয়পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে।’

তিনি এমন সময় এ মন্তব্য করলেন যখন সহিংসতা বন্ধের জন্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের ওপর চাপ বাড়ছে।

মিসরের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, দু’পক্ষ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে, তবে আলোচনা এখনো চলছে।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চতুর্থবারের মতো ফোন করে নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে সহিংসতা কমিয়ে আনার বার্তা দিয়েছেন।’

এর মধ্যে গতকাল বুধবারই জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলে যুদ্ধবিরতির জন্য ফ্রান্সের আনা একটি প্রস্তাব আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২০ মে, ২০২১)